অসুস্থ ব্যক্তির নামায-রোযা ও পবিত্রতার হুকুম ও নিয়ম

By | August 24, 2021

প্রশ্ন:

আমার বাবা স্ট্রো করে বিছানায় শয্যাশায়ী। নড়াচড়া করার মত শক্তি রাখেন না। এমতাবস্থায় তার নামাযের জন্য কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করাতে পারি নামায পড়াতে পারি? তার রোযার হুকুম কি হবে?

উত্তর: وبالله سبحانه التوفيق

আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন:

তোমরা সাধ্যানুযায়ী আল্লাহ্‌কে ভয় কর[সূরা তাগাবুন, আয়াত: ১৬]

এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণীর অনুসরণ করলেন: “আমি যখন তোমাদেরকে কোন কিছু নির্দেশ করি, তখন সাধ্যানুযায়ী সেটা পালন কর[সহিহ বুখারী (৭২৮৮) সহিহ মুসলিম (১৩৩৭)]

আল্লাহ্‌ তাআলা আরও বলেন:
{ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ }

তবে দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের ওপর কোন কষ্ট চাপিয়ে দেননি।“[সূরা আলহাজ্জ, আয়াত: ৭৮]

প্রিয়নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও অসুস্থ অবস্থায় দাঁড়াতে অক্ষম হলে বসে বসে নামায আদায় করেছেন।

আনাস রাযি. বলেন, একদা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোড়া থেকে নীচে পতিত হয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। তখন তিনি বসে বসে নামায আদায় করতেন (সহীহ বুখারী)

নামাযের হুকুম:

শরিয়তে দুই ওয়াক্ত নামায একত্রিত করার রুখসত (ছাড়) আসেনি। অসুস্থ ব্যক্তির জন্য কোন নামায নির্দিষ্ট সময় ব্যতীত অন্য সময়ে আদায় করা জায়েয নয়

আল্লাহ্‌র বাণী:

{ إِنَّ الصَّلاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَوْقُوتًا }

‘ নিশ্চয় নামায মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরয’  [সূরা নিসা, আয়াত: ১০৩] 

মিসওয়ার ইবনে মাখরামা রাযি. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে রাতে ওমর রাযি. বর্শা দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন সে রাতে তিনি তার নিকট গিয়ে তাকে ফজরের নামায আদায় করার জন্য জাগিয়ে দিলেন। তখন ওমর রাযি. বললেন, হ্যাঁ, অবশ্যই আমি নামায পড়ব। কেননা যে ব্যক্তি নামায পড়ে না ইসলামে তার কোনো অংশ নেই্। এ বলে তিনি নামায আদায় করলেন। তখন তার ক্ষত থেকে রক্ত ঝরছিল 

তবে রোগী ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে সজাগ হওয়া বা স্মরণ হওয়ামাত্র সে সময়েই সালাত আদায় করবে, আর কোন ওয়াক্ত ফউত হয়ে গেলে সাথে সাথে তা কাযা করে নেবে।

নামায আদায়ের নিয়ম:

ইমরান ইবনে হুসাইন রাযি. বলেন, আমার অর্শ রোগ ছিল। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, ‘তুমি দাঁড়িয়ে নামায পড়বে। যদি দাঁড়াতে সক্ষম না হও তাহলে বসে নামায পড়বে। যদি তাও না পার তবে কাত হয়ে শুয়ে নামায আদায় করবে’ 

ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত এক হাদীসে আছে, একদা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনো এক অসুস্থ সাহাবীকে দেখতে গেলেন। সেখানে যাওয়ার পর তিনি দেখলেন, ঐ অসুস্থ সাহাবী বালিশের উপর (সিজদা দিয়ে) নামায আদায় করছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বালিশটি নিয়ে দূরে ফেলে দিলেন। অতঃপর ঐ সাহাবী সিজদা দেওয়ার জন্য একটি কাঠের ঢাল নিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেটিও নিয়ে দূরে নিক্ষেপ করলেন এবং বললেন, যদি তুমি পার তাহলে জমিনেই সিজদা দাও। আর জমিনে সিজদা দিয়ে নামায পড়তে না পারলে ইশারা করে নামায পড়ো। আর ইশারা করে নামায পড়ার সময় সিজদা আদায়কালে রুকুর চাইতে একটু বেশি পরিমাণে ঝুঁকবে ।()

রোগীর যদি নিজ ক্ষমতায় বসার শক্তি না থাকে, কিন্তু বালিশ-তাকিয়া বা দেওয়ালে হেলান দিয়া অর্ধ বসা অবস্থায় শুইতে পারে, তবে তাকে তদ্রূপ বালিশ-তাকিয়া মাথার এবং পিঠের নীচে দিয়া পশ্চিম দিকে মুখ করে শোয়াবে যাতে কতকটা বসার মত অবস্থা হয় এবং পা ক্বেবলার দিকে প্রসারিত করে দিবে, পা গুটিয়ে হাঁটু যদি খাড়া করে রাখতে পারে, তবে তদ্রূপ করে দিবে এবং যদি হাঁটু খাঁড়া করে না রাখতে পারে, তবে হাঁটুর নীচে বালিশ রেখে দিবে যাতে পা ক্বেবলার দিক তে যথাসম্ভব ফিরে থাকে, কারণ (বিনা ওযরে) ক্বেবলার দিকে পা করা মকরূহ।

এইরূপ বসে মাথার ইশারা দ্বারা রুকূ-সিজদা আদায় করে নামায পড়বে, তবুও নামায ছাড়বে না; অবশ্য সিজদার ইশারার সময় রুকূর ইশারা অপেক্ষা মাথাটা কিছু বেশী ঝুঁকাবে।

যদি এরূপ হেলান দিয়েও বসতে না পারে, তবে মাথার নীচে কিছু উঁচু বালিশ দিয়া শোয়ায় দিবে, যাতে মুখটা আকাশের দিকে না থাকে; যথাসম্ভব ক্বেবলার দিকে থাকে,

তারপর মাথার ইশারা দ্বারা রুকূ-সিজদা আদায় করে নামায পড়বে। রুকূর ইশারা একটু কম করবে এবং সিজদার ইশারা একটু বেশী করবে।

যদি কেউ তার পরিবর্তে ডান বা বাম কাতে শোয় এবং ক্বেবলার দিকে মুখ করে অর্থাৎ, ডান কাতে শুলে উত্তর দিকে মাথা দিয়ে এবং বাম কাতে শুলে দক্ষিণ দিকে মাথা দিয়ে মাথার ইশারায় রুকূ-সিজদা আদায় করে নামায পড়ে, তবে তাও সহীহ হবে। কিন্তু চিৎ হয়ে শুয়ে নামায পড়া অধিক উত্তম।

রোগীর যদি মাথা দ্বারা ইশারা করার ক্ষমতাও না থাকে তবে শুধু চক্ষুর দ্বারা ইশারায় নামায আদায় হবে না, আর এরূপ অবস্থায় নামায ফরযও থাকে না।

অবশ্য ঐরূপ অবস্থা যদি মাত্র চব্বিশ ঘণ্টা কাল অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামায পর্যন্ত থাকে, তবে ঐ সময়ের নামাযগুলির ক্বাযা পড়তে হবে।

কিন্তু এইরূপ যদি চব্বিশ ঘণ্টা কালের (পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের) বেশী থাকে, তবে তার ক্বাযাও পড়তে হবে না; নামায সম্পূর্ণ মাফ হয়ে যাবে।

চব্বিশ ঘণ্টা কাল বা তার কম এইরূপ অবস্থা থাকার পর যদি অবস্থা কিছু ভাল হয় এবং শুয়ে মাথার ইশারা দ্বারা নামায পড়ার মত শক্তি পায়, তবে ঐ অবস্থায়ই মাথার ইশারা দ্বারা রুকূ-সিজদা আদায় করে এ কয়েক ওয়াক্তের নামাযের ক্বাযা পড়ে নিবে।

একথা মনে করবে না যে, সম্পূর্ণ ভাল হয়ে তারপর ক্বাযা পড়ব।

কারণ, হয়ত ঐ অবস্থায় মৃত্যু এসে পড়তে পারে, তা হলে গোনাহগার অবস্থায় মরবে।

পবিত্রতার হুকুম:

রোগীর যদি এরূপ শোচনীয় অবস্থা হয় যে, (বসে পায়খানাও করতে পারে না, শুয়ে শুয়ে পেশাব-পায়খানা করে,) পানির দ্বারা এস্তেঞ্জাও করতে পারে না,

তবে পুরুষ হলে তার স্ত্রী এবং স্ত্রী হলে তাহার স্বামী যদি পানির দ্বারা এস্তেঞ্জা করিয়ে দেয়, তবে অতি ভাল,

নতুবা নেকড়ার দ্বারা মুছে ফেলে ঐ নাপাক অবস্থায়ই নামায পড়িবে; তবুও নামায ছাড়বে না।

পুরুষের যদি ছেলে বা ভাই থাকে বা স্ত্রীর যদি মেয়ে বা ভগ্নী থাকে, তবে তারা ওযূ করিয়ে দিতে পারবে বটে, কিন্তু এস্তেঞ্জা করাতে পারবে না। কারণ, ছেলে, মেয়ে, মা, বাপ, বোন, কারও গুপ্তস্থান দেখা বা স্পর্শ করা জায়েয নহে। স্বামী-স্ত্রীর জন্য একে অন্যের গুপ্তস্থান দেখা বা ছোঁয়া জায়েয আছে।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “তুমি তোমার লজ্জাস্থানকে হেফাযতে রাখ (সবার কাছ থেকে); শুধু তোমার স্ত্রী তোমার দক্ষিণহস্ত যার মালিক (দাসী) সে ছাড়া[সুনানে আবু দাউদ (৪০১৭), সুনানে তিরমিযি (২৭৯৪), তিরমিযি বলেন: হাদিসটি হাসান।

কোন রোগীর জন্য নাপাকি বহনকারী Diaper নিয়ে নামায আদায় করা জায়েয নয়। এর বদলে সে ব্যক্তি তার নিকটে কোন পাত্র রাখতে পারেন; যাতে তিনি তার প্রয়োজন সারবেন এবং ঢিলা, টিস্যু বা এ জাতীয় অন্য কিছু ব্যবহার করে তিনি শৌচকর্ম করবেন।

যদি তার জন্য Diaper ব্যবহার করা সহজতর হয়; সে ক্ষেত্রে তার উপর ওয়াজিব হল— Diaper-এ নাপাকি থাকলে নামাযের পূর্বে সেটা খুলে ফেলা ও অন্যটি পরা। অনুরূপভাবে তাকে নাপাকি থেকে শৌচকর্মও করতে হবে।

আর যদি তিনি পেশাব-ঝরা রোগে আক্রান্ত হন তাহলে তার উপর ওয়াজিব হল নাপাকি বের হওয়ার স্থানটি ধৌত করা। এরপর তিনি এমন কিছু পরিধান করবেন যাতে করে পেশাব না ছড়ায় এবং নামাযের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর ওযু করবেন; যদি কোন কিছু বের হয়ে থাকে। প্রত্যেক নামাযের জন্য তাকে পেশাব বের হওয়ার স্থানটি বা পট্টিটি ধৌত করতে হবে না।

তদ্রুপ ডায়াপার পরে থাকলে নামাযের সময় খুলে নিবে বা চেন্জ করে নিবে; তবে যদি খুলতে বা চেন্জ করতে না পারে তাহলে ডায়াপার পরেই নামায পড়বে।

পানি থাকা পানি ব্যবহারের সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তায়াম্মুম করা জায়েয নয়। কিন্তু, রোগী যদি নিজে পানি ব্যবহার করতে না পারেন কিংবা পানি ব্যবহার করলে ক্ষতির আশংকা করেন কিংবা পানি ব্যবহার করতে গিয়ে তার তীব্র কষ্ট হয়; সেক্ষেত্রে তার জন্য তায়াম্মুম করা জায়েয হবে।

রোগী যদি নিজে ওযূ বা তায়াম্মুম করতে না পারে, তবে অন্য কেউ ওযূ বা তায়াম্মুম করিয়ে দিবে।

যদি নেকড়া দ্বারা মোছার মত শক্তিও না থাকে, (এবং পুরুষের স্ত্রী বা স্ত্রীর স্বামী না থাকে,) তবে ঐ অবস্থায়ই নামায পড়বে, তবুও নামায ছাড়বে না।

রোযার হুকুম:

তার অবস্থা যদি এমন হয় যে অভিজ্ঞ দ্বীনদার ডাক্তার তার সম্পর্কে বলে যে এই অবস্থায় রোযা তার শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বা রোগ বৃদ্ধি পাবে বা রোগ-ভোগ দীর্ঘ হওয়ার প্রবল আশঙ্কা আছে,তাহলে সে ব্যাক্তি রোযা না রাখতে পারবে।
পরবর্তীতে সুস্থ হলে এর কাজা আদায় করবে,
যদি সে আর সুস্থ না হয়, তাহলে সে প্রত্যেক রোযার জন্য ফিদিয়া আদায় করবে । 
আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ
আর যাদের রোযা রাখা অত্যন্ত কষ্টকর তারা ফিদয়া-একজন মিসকীনকে খাবার প্রদান করবে।-সূরা বাকারা : ১৮৪
হযরত সায়ীদ ইবনে মুসাইয়্যিব রাহ. বলেন-
وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ
এই আয়াত রোযা রাখতে অক্ষম বৃদ্ধের জন্য প্রযোজ্য।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস : ৭৫৮৫; 
অর্থাৎ যে অসুস্থ ব্যক্তির রোযা রাখার সামর্থ্য নেই এবং পরবর্তীতে কাযা করতে পারবে এমন সম্ভাবনাও নেই এমন ব্যক্তি রোযার পরিবর্তে ফিদয়া প্রদান করবে।
প্রতি রোযার জন্য এক জন মিসকীনকে দু-বেলা তৃপ্তি করে খাওয়াবে।

অথবা প্রতিটি রোযার পরিবর্তে কমপক্ষে আধা সাতথা পৌনে দুই সের বা কেজি ৫৯২ গ্রাম গম (ফিতরার পরিমাণ) অথবা তৎপরিমাণ মূল্য আদায় করবে। ইসলামের পরিভাষায় এটাকে ফিদিয়া বলা হয়। (জাওয়াহিরুল ফিকাহ : . , পৃ. ২৯)

في الحديث ، قال عمران بن حسين.

كانت بي بواسير فسألت النبي صلى الله عليه وسلم كيف أصلي؟ قال النبي صلى الله عليه وسلم: قم صلى. إذا لم تكن قادرًا على الوقوف ، فسوف تجلس. إذا لم يكن قادرًا على الجلوس ، فسيتمدد ويجمعها. (صحيح البخاري ، الحديث 1118).

قال صلى الله عليه وسلم لعمران بن حسين رضي الله عنه وهو في حالة طبيعية وهو مريض: قام ، لم يستطع صدفة ، ولم يستطع عمل العرعر ، كان أعمى في تلك الطاعة على قوته. لا يمكن النهوض ، لكن من الممكن القيام. فإن فعل ذلك لا يخاف من المنكر فلا يقدر على فعله إلا بالصلاة. (المحيط البرهاني 3/26)

(قول إذا كان المريض عاجزًا) والمقصود بالعجز الفعلي ، حتى لو لم يكن بالقيامة ، لكنه يخشى بسبب الوضوء ، أو إذا كان شديدًا على الإرث. (فتح القادر

2/3).

الدر المختار:

(وَلَوْ مَاتَ وَعَلَيْهِ صَلَوَاتٌ فَائِتَةٌ وَأَوْصَى بِالْكَفَّارَةِ يُعْطَى لِكُلِّ صَلَاةٍ نِصْفَ صَاعٍ مِنْ بُرٍّ) كَالْفِطْرَةِ (وَكَذَا حُكْمُ الْوِتْرِ) وَالصَّوْمِ. وَإِنَّمَا يُعْطِي (مِنْ ثُلُثِ مَالِهِ) …… (وَلَوْ قَضَاهَا وَرَثَتُهُ بِأَمْرِهِ لَمْ يَجُزْ)؛ لِأَنَّهَا عِبَادَةٌ بَدَنِيَّةٌ، (بِخِلَافِ الْحَجِّ)؛ لِأَنَّهُ يَقْبَلُ النِّيَابَةَ، وَلَوْ أَدَّى لِلْفَقِيرِ أَقَلَّ مِنْ نِصْفِ صَاعٍ لَمْ يَجُزْ، وَلَوْ أَعْطَاهُ الْكُلَّ جَازَ، وَلَوْ فَدَى عَنْ صَلَاتِهِ فِي مَرَضِهِ لَا يَصِحُّ، بِخِلَافِ الصَّوْمِ.

☀ رد المحتار:

(قَوْلُهُ: وَعَلَيْهِ صَلَوَاتٌ فَائِتَةٌ إلَخْ) أَيْ بِأَنْ كَانَ يَقْدِرُ عَلَى أَدَائِهَا وَلَوْ بِالْإِيمَاءِ، فَيَلْزَمُهُ الْإِيصَاءُ بِهَا، وَإِلَّا فَلَا يَلْزَمُهُ وَإِنْ قَلَّتْ، بِأَنْ كَانَتْ دُونَ سِتِّ صَلَوَاتٍ؛ لِقَوْلِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ: «فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَاللهُ أَحَقُّ بِقَبُولِ الْعُذْرِ مِنْهُ». وَكَذَا حُكْمُ الصَّوْمِ فِي رَمَضَانَ إنْ أَفْطَرَ فِيهِ الْمُسَافِرُ وَالْمَرِيضُ وَمَاتَا قَبْلَ الْإِقَامَةِ وَالصِّحَّةِ، وَتَمَامُهُ فِي «الْإِمْدَادِ». ثُمَّ اعْلَمْ أَنَّهُ إذَا أَوْصَى بِفِدْيَةِ الصَّوْمِ يُحْكَمُ بِالْجَوَازِ قَطْعًا؛ لِأَنَّهُ مَنْصُوصٌ عَلَيْهِ، وَأَمَّا إذَا لَمْ يُوصِ فَتَطَوَّعَ بِهَا الْوَارِثُ فَقَدْ قَالَ مُحَمَّدٌ فِي «الزِّيَادَاتِ»: إنَّهُ يُجْزِيهِ إنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى، فَعَلَّقَ الْإِجْزَاءَ بِالْمَشِيئَةِ؛ لِعَدَمِ النَّصِّ، وَكَذَا عَلَّقَهُ بِالْمَشِيئَةِ فِيمَا إذَا أَوْصَى بِفِدْيَةِ الصَّلَاةِ؛ لِأَنَّهُمْ أَلْحَقُوهَا بِالصَّوْمِ احْتِيَاطًا؛ لِاحْتِمَالِ كَوْنِ النَّصِّ فِيهِ مَعْلُولًا بِالْعَجْزِ فَتَشْمَلُ الْعِلَّةُ الصَّلَاةَ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ مَعْلُولًا تَكُونُ الْفِدْيَةُ بِرًّا مُبْتَدَأً يَصْلُحُ مَاحِيًا لِلسَّيِّئَاتِ فَكَانَ فِيهَا شُبْهَةٌ كَمَا إذَا لَمْ يُوصِ بِفِدْيَةِ الصَّوْمِ، فَلِذَا جَزَمَ مُحَمَّدٌ بِالْأَوَّلِ وَلَمْ يَجْزِمْ بِالْأَخِيرَيْنِ، فَعُلِمَ أَنَّهُ إذَا لَمْ يُوصِ بِفِدْيَةِ الصَّلَاةِ فَالشُّبْهَةُ أَقْوَى. وَاعْلَمْ أَيْضًا أَنَّ الْمَذْكُورَ فِيمَا رَأَيْته مِنْ كُتُبِ عُلَمَائِنَا فُرُوعًا وَأُصُولًا إذَا لَمْ يُوصِ بِفِدْيَةِ الصَّوْمِ يَجُوزُ أَنْ يَتَبَرَّعَ عَنْهُ وَلِيُّهُ. وَالْمُتَبَادِرُ مِنْ التَّقْيِيدِ بِالْوَلِيِّ أَنَّهُ لَا يَصِحُّ مِنْ مَالِ الْأَجْنَبِيِّ. وَنَظِيرُهُ مَا قَالُوهُ فِيمَا إذَا أَوْصَى بِحَجَّةِ الْفَرْضِ فَتَبَرَّعَ الْوَارِثُ بِالْحَجِّ لَا يَجُوزُ، وَإِنْ لَمْ يُوصِ فَتَبَرُّعُ الْوَارِثِ إمَّا بِالْحَجِّ بِنَفْسِهِ أَوْ بِالْإِحْجَاجِ عَنْهُ رَجُلًا يُجْزِيهِ. وَظَاهِرُهُ أَنَّهُ لَوْ تَبَرَّعَ غَيْرُ الْوَارِثِ لَا يُجْزِيهِ، نَعَمْ وَقَعَ فِي شَرْحِ نُورِ الْإِيضَاحِ لِلشُّرُنْبُلَالِيِّ التَّعْبِيرُ بِالْوَصِيِّ أَوْ الْأَجْنَبِيِّ فَتَأَمَّلْ، وَتَمَامُ ذَلِكَ فِي آخِرِ رِسَالَتِنَا الْمُسَمَّاةِ شِفَاءَ الْعَلِيلِ فِي بُطْلَانِ الْوَصِيَّةِ بِالْخَتَمَاتِ وَالتَّهَالِيلِ. (قَوْلُهُ: نِصْفَ صَاعٍ مِنْ بُرٍّ) أَيْ أَوْ مِنْ دَقِيقِهِ أَوْ سَوِيقِهِ، أَوْ صَاعِ تَمْرٍ أَوْ زَبِيبٍ أَوْ شَعِيرٍ أَوْ قِيمَتِهِ، وَهِيَ أَفْضَلُ عِنْدَنَا؛ لِإِسْرَاعِهَا بِسَدِّ حَاجَةِ الْفَقِيرِ، «إمْدَادٌ». ثُمَّ إنَّ نِصْفَ الصَّاعِ رُبُعُ مُدٍّ دِمَشْقِيٍّ مِنْ غَيْرِ تَكْوِيمٍ، بَلْ قَدْرُ مَسْحِهِ كَمَا سَنُوضِحُهُ فِي زَكَاةِ الْفِطْرِ. (قَوْلُهُ: وَكَذَا حُكْمُ الْوِتْرِ)؛ لِأَنَّهُ فَرْضٌ عَمَلِيٌّ عِنْدَهُ خِلَافًا لَهُمَا، ط …… (قَوْلُهُ: وَإِنَّمَا يُعْطِي مِنْ ثُلُثِ مَالِهِ) أَيْ فَلَوْ زَادَتْ الْوَصِيَّةُ عَلَى الثُّلُثِ لَا يَلْزَمُ الْوَلِيَّ إخْرَاجُ الزَّائِدِ إلَّا بِإِجَازَةِ الْوَرَثَةِ. وَفِي «الْقُنْيَةِ»: أَوْصَى بِثُلُثِ مَالِهِ إلَى صَلَوَاتِ عُمْرِهِ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ فَأَجَازَ الْغَرِيمُ وَصِيَّتَهُ لَا تَجُوزُ؛ لِأَنَّ الْوَصِيَّةَ مُتَأَخِّرَةٌ عَنِ الدَّيْنِ، وَلَمْ يَسْقُطْ الدَّيْنُ بِإِجَازَتِهِ. اهـ. وَفِيهَا أَوْصَى بِصَلَوَاتِ عُمْرِهِ وَعُمْرُهُ لَا يُدْرَى فَالْوَصِيَّةُ بَاطِلَةٌ. ثُمَّ رَمَزَ إنْ كَانَ الثُّلُثُ لَا يَفِي بِالصَّلَوَاتِ جَازَ، وَإِنْ كَانَ أَكْثَرَ مِنْهَا لَمْ يَجُزْ. اهـ. وَالظَّاهِرُ أَنَّ الْمُرَادَ: لَا يَفِي بِغَلَبَةِ الظَّنِّ؛ لِأَنَّ الْمَفْرُوضَ أَنَّ عُمْرَهُ لَا يُدْرَى، وَذَلِكَ كَأَنْ يَفِيَ الثُّلُثُ بِنَحْوِ عَشْرِ سِنِينَ مَثَلًا وَعُمْرُهُ نَحْوُ الثَّلَاثِينَ. وَوَجْهُ هَذَا الْقَوْلِ الثَّانِي ظَاهِرٌ؛ لِأَنَّ الثُّلُثَ إذَا كَانَ لَا يَفِي بِصَلَوَاتِ عُمْرِهِ تَكُونُ الْوَصِيَّةُ بِجَمِيعِ الثُّلُثِ يَقِينًا وَيَلْغُو الزَّائِدُ عَلَيْهِ، بِخِلَافِ مَا إذَا كَانَ يَفِي بِهَا وَيَزِيدُ عَلَيْهَا فَإِنَّ الْوَصِيَّةَ تَبْطُلُ؛ لِجَهَالَةِ قَدْرِهَا بِسَبَبِ جَهَالَةِ قَدْرِ الصَّلَوَاتِ، فَتَدَبَّرْ ….. (قَوْلُهُ: لَمْ يَجُزْ) الظَّاهِرُ أَنَّهُ بِضَمِّ الْيَاءِ مِنِ الْإِجْزَاءِ بِمَعْنَى أَنَّ الصَّلَاةَ لَا تَسْقُطُ عَنِ الْمَيِّتِ بِذَلِكَ وَكَذَا الصَّوْمُ، نَعَمْ، لَوْ صَامَ أَوْ صَلَّى وَجَعَلَ ثَوَابَ ذَلِكَ لِلْمَيِّتِ صَحَّ؛ لِأَنَّهُ يَصِحُّ أَنْ يُجْعَلَ ثَوَابُ عَمَلِهِ لِغَيْرِهِ عِنْدَنَا، كَمَا سَيَأْتِي فِي بَابِ الْحَجِّ عَنِ الْغَيْرِ إنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. ….. (قَوْلُهُ: لَمْ يَجُزْ) هَذَا ثَانِي قَوْلَيْنِ حَكَاهُمَا فِي «التَّتَارْخَانِيَّة» بِدُونِ تَرْجِيحٍ، وَظَاهِرُ «الْبَحْرِ» اعْتِمَادُهُ، وَالْأَوَّلُ مِنْهُمَا أَنَّهُ يَجُوزُ كَمَا يَجُوزُ فِي صَدَقَةِ الْفِطْرِ. (قَوْلُهُ: جَازَ) أَيْ بِخِلَافِ كَفَّارَةِ الْيَمِينِ وَالظِّهَارِ وَالْإِفْطَارِ، «تَتَارْخَانِيَّةٌ». (قَوْلُهُ: وَلَوْ فَدَى عَنْ صَلَاتِهِ فِي مَرَضِهِ لَا يَصِحُّ) فِي «التَّتَارْخَانِيَّة» عَنِ «التَّتِمَّةِ»: سُئِلَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ عَنِ الْفِدْيَةِ عَنِ الصَّلَاةِ فِي مَرَضِ الْمَوْتِ هَلْ تَجُوزُ؟ فَقَالَ: لَا. وَسُئِلَ أَبُو يُوسُفَ عَنِ الشَّيْخِ الْفَانِي هَلْ تَجِبُ عَلَيْهِ الْفِدْيَةُ عَنِ الصَّلَوَاتِ كَمَا تَجِبُ عَلَيْهِ عَنِ الصَّوْمِ وَهُوَ حَيٌّ؟ فَقَالَ: لَا. اهـ. وَفِي «الْقُنْيَةِ»: وَلَا فِدْيَةَ فِي الصَّلَاةِ حَالَةَ الْحَيَاةِ، بِخِلَافِ الصَّوْمِ. اهـ. أَقُولُ: وَوَجْهُ ذَلِكَ أَنَّ النَّصَّ إنَّمَا وَرَدَ فِي الشَّيْخِ الْفَانِي أَنَّهُ يُفْطِرُ وَيَفْدِي فِي حَيَاتِهِ، حَتَّى إنَّ الْمَرِيضَ أَوِ الْمُسَافِرَ إذَا أَفْطَرَ يَلْزَمُهُ الْقَضَاءُ إذَا أَدْرَكَ أَيَّامًا أُخَرَ وَإِلَّا فَلَا شَيْءَ عَلَيْهِ، فَإِنْ أَدْرَكَ وَلَمْ يَصُمْ يَلْزَمُهُ الْوَصِيَّةُ بِالْفِدْيَةِ عَمَّا قَدَرَ، هَذَا مَا قَالُوهُ، وَمُقْتَضَاهُ أَنَّ غَيْرَ الشَّيْخِ الْفَانِي لَيْسَ لَهُ أَنْ يَفْدِيَ عَنْ صَوْمِهِ فِي حَيَاتِهِ؛ لِعَدَمِ النَّصِّ، وَمِثْلُهُ الصَّلَاةُ، وَلَعَلَّ وَجْهَهُ أَنَّهُ مُطَالَبٌ بِالْقَضَاءِ إذَا قَدَرَ، وَلَا فِدْيَةَ عَلَيْهِ إلَّا بِتَحْقِيقِ الْعَجْزِ عَنْهُ بِالْمَوْتِ فَيُوصِي بِهَا، بِخِلَافِ الشَّيْخِ الْفَانِي فَإِنَّهُ تَحَقَّقَ عَجْزُهُ قَبْلَ الْمَوْتِ عَنْ أَدَاءِ الصَّوْمِ وَقَضَائِهِ فَيَفْدِي فِي حَيَاتِهِ، وَلَا يَتَحَقَّقُ عَجْزُهُ عَنْ الصَّلَاةِ؛ لِأَنَّهُ يُصَلِّي بِمَا قَدَرَ وَلَوْ مُومِيًا بِرَأْسِهِ، فَإِنْ عَجَزَ عَنْ ذَلِكَ سَقَطَتْ عَنْهُ إذَا كَثُرَتْ، وَلَا يَلْزَمُهُ قَضَاؤُهَا إذَا قَدَرَ كَمَا سَيَأْتِي فِي بَابِ صَلَاةِ الْمَرِيضِ، وَبِمَا قَرَّرْنَا ظَهَرَ أَنَّ قَوْلَ الشَّارِحِ بِخِلَافِ الصَّوْمِ أَيْ فَإِنَّ لَهُ أَنْ يَفْدِيَ عَنْهُ فِي حَيَاتِهِ خَاصٌّ بِالشَّيْخِ الْفَانِي، تَأَمَّلْ. (باب قضاء الفوائت)

☀ الدر المختار:

(وَإِنْ تَعَذَّرَ الْإِيمَاءُ) بِرَأْسِهِ (وَكَثُرَتِ الْفَوَائِتُ) بِأَنْ زَادَتْ عَلَى يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ (سَقَطَ الْقَضَاءُ عَنْهُ) وَإِنْ كَانَ يُفْهَمُ فِي ظَاهِرِ الرِّوَايَةِ (وَعَلَيْهِ الْفَتْوَى) كَمَا فِي «الظَّهِيرِيَّةِ»؛ لِأَنَّ مُجَرَّدَ الْعَقْلِ لَا يَكْفِي لِتَوَجُّهِ الْخِطَابِ.

☀ رد المحتار:

(قَوْلُهُ: بِأَنْ زَادَتْ عَلَى يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ) أَمَّا لَوْ كَانَتْ يَوْمًا وَلَيْلَةً أَوْ أَقَلَّ وَهُوَ يَعْقِلُ فَلَا تَسْقُطُ بَلْ تُقْضَى اتِّفَاقًا، وَهَذَا إذَا صَحَّ، فَلَوْ مَاتَ وَلَمْ يَقْدِرْ عَلَى الصَّلَاةِ لَمْ يَلْزَمْهُ الْقَضَاءُ حَتَّى لَا يَلْزَمُهُ الْإِيصَاءُ بِهَا، كَالْمُسَافِرِ إذَا أَفْطَرَ وَمَاتَ قَبْلَ الْإِقَامَةِ، كَمَا فِي «الزَّيْلَعِيِّ». قَالَ فِي «الْبَحْرِ»: وَيَنْبَغِي أَنْ يُقَالَ: مَحْمَلُهُ مَا إذَا لَمْ يَقْدِرْ فِي مَرَضِهِ عَلَى الْإِيمَاءِ بِالرَّأْسِ، أَمَّا إنْ قَدَرَ عَلَيْهِ بَعْدَ عَجْزِهِ فَإِنَّهُ يَلْزَمُهُ الْقَضَاءُ وَإِنْ كَانَ مُوَسَّعًا لِتَظْهَرَ فَائِدَتُهُ فِي الْإِيصَاءِ بِالْإِطْعَامِ عَنْهُ. اهـ. قُلْت: وَهُوَ مَأْخُوذٌ مِنَ «الْفَتْحِ» فَإِنَّهُ قَالَ: وَمَنْ تَأَمَّلَ تَعْلِيلَ الْأَصْحَابِ فِي الْأُصُولِ انْقَدَحَ فِي ذِهْنِهِ إيجَابُ الْقَضَاءِ عَلَى هَذَا الْمَرِيضِ إلَى يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ حَتَّى يَلْزَمُهُ الْإِيصَاءُ بِهِ إنْ قَدَرَ عَلَيْهِ بِطَرِيقٍ وَسُقُوطُهُ إنْ زَادَ. اهـ. (قَوْلُهُ: فِي ظَاهِرِ الرِّوَايَةِ) وَقِيلَ: لَا يَسْقُطُ الْقَضَاءُ، بَلْ تُؤَخَّرُ عَنْهُ إذَا كَانَ يَعْقِلُ، وَصَحَّحَهُ فِي «الْهِدَايَةِ» وَهُوَ مِنْ أَهْلِ التَّرْجِيحِ، لَكِنْ خَالَفَ نَفْسَهُ فِي كِتَابِهِ «التَّجْنِيسِ» فَصَحَّحَ الْأَوَّلَ كَعَامَّةِ أَهْلِ التَّرْجِيحِ كَقَاضِي خَانْ وَصَاحِبِ «الْمُحِيطِ» وَشَيْخِ الْإِسْلَامِ وَفَخْرِ الْإِسْلَامِ، وَمَالَ إلَيْهِ الْمُحَقِّقُ ابْنُ الْهُمَامِ فِي عِبَارَتِهِ الَّتِي نَقَلْنَاهَا آنِفًا، وَمَشَى عَلَيْهِ الْمُصَنِّفُ؛ لِأَنَّهُ ظَاهِرُ الرِّوَايَةِ، وَلِمَا فِي «الْإِمْدَادِ» مِنْ أَنَّ الْقَاعِدَةَ الْعَمَلُ بِمَا عَلَيْهِ الْأَكْثَرُ.

[تَنْبِيهٌ]: جَعَلَ فِي «السِّرَاجِ» الْمَسْأَلَةَ عَلَى أَرْبَعَةِ أَوْجُهٍ: إنْ زَادَ الْمَرَضُ عَلَى يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ وَهُوَ لَا يَعْقِلُ فَلَا قَضَاءَ إجْمَاعًا، وَإِلَّا وَهُوَ يَعْقِلُ قَضَى إذَا صَحَّ إجْمَاعًا، وَإِنْ زَادَ وَهُوَ يَعْقِلُ أَوْ لَا وَهُوَ لَا يَعْقِلُ فَعَلَى الْخِلَافِ.

[تَتِمَّةٌ]: فِي «الْبَحْرِ» عَنِ «الْقُنْيَةِ»: وَلَا فِدْيَةَ فِي الصَّلَوَاتِ حَالَةَ الْحَيَاةِ، بِخِلَافِ الصَّوْمِ اهـ وَقَدَّمَهُ الشَّارِحُ قُبَيْلَ هَذَا الْبَابِ وَأَوْضَحْنَاهُ ثَمَّةَ. (باب صلاة المريض)

وصاحب عذر من به سلس بول لا يمكنه إمساكه أو استطلاق بطن أو إنفلات ريح….. إن استوعب عذره تمام وقت صلاة مفروضة، بأن لا يجد فى جميع وقتها زمنا يتوضأ ويصلى فيه خاليا عن الحدث…….. فإذا خرج الوقت بطل (رد المحتار، كتاب الطهارة، باب الحيض، مطلب فى أحكام المعذور-1/504-505، البحر الرائق-1/373)

والله تعالى أعلم

উত্তর প্রদান

মুফতী মাসূম বিল্লাহ।

Facebook Comments Box