সালামের_শুদ্ধ_নিয়ম:
আরবীতে- السَّلامُ عَلَيْكُمْ ورحمةُ اللهِ وبركاتُه
বাংলায়- আস্ সালামু আলায়কুম অরহমাতুল্লহি অবারাকাতুহ
In english- Assalamu alikum wa rahmatullahi wa barakatuh
আরবীতে- وَعَلَيْكُمُ السَّلامُ ورحمةُ اللهِ وبركاتُه
বাংলায়- অআলায়কুমুস সালাম অরহমাতুল্লহি অবারাকাতুহ
In english- Wa alikumus salam wa rahmatullahi wa barakatuh
আল্লহ তাআলা বলেন:
১।وَإِذَا جَاءَكَ الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِآيَاتِنَا فَقُلْ سَلَامٌ عَلَيْكُمْ ۖ كَتَبَ رَبُّكُمْ عَلَىٰ نَفْسِهِ الرَّحْمَةَ ۖ أَنَّهُ مَنْ عَمِلَ مِنْكُمْ سُوءًا بِجَهَالَةٍ ثُمَّ تَابَ مِنْ بَعْدِهِ وَأَصْلَحَ فَأَنَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ
যাহারা আমার আয়াত সমূহে ঈমান আনে তাহারা যখন তোমার নিকট আসে তখন তাহাদেরকে তুমি বলিও : সালামুন আলায়কুম (তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হউক), তোমাদের প্রতিপালক দয়া করা তাঁহার কর্তব্য বলিয়া স্থির করিয়াছেন। তোমাদের মধ্যে কেহ অজ্ঞতা বশত যদি মন্দ কাজ করে, অতঃপর তওবা করে এবং সংশোধন করে তবে তো আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। সূরা আনআম, ৫৪।
২।وَبَيْنَهُمَا حِجَابٌ ۚ وَعَلَى الْأَعْرَافِ رِجَالٌ يَعْرِفُونَ كُلًّا بِسِيمَاهُمْ ۚ وَنَادَوْا أَصْحَابَ الْجَنَّةِ أَنْ سَلَامٌ عَلَيْكُمْ ۚ لَمْ يَدْخُلُوهَا وَهُمْ يَطْمَعُونَ
উভয়ের মধ্যে পর্দা আছে এবং আরাফে কিছু লোক থাকিবে যাহারা প্রত্যেককে তাহার লক্ষণ দ্বারা চিনিবে এবং জান্নাতবাসীদেরকে সম্বোধন করিয়া বলিবে, সালামুন আলায়কুম (তোমাদের শান্তি হউক)। তাহারা তখনও জান্নাতে প্রবেশ করে নাই, কিন্তু আকাঙ্ক্ষা করে।সূরা আরাফ,৪৬।
৩।دَعْوَاهُمْ فِيهَا سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَتَحِيَّتُهُمْ فِيهَا سَلَامٌ ۚ وَآخِرُ دَعْوَاهُمْ أَنِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
সেখানে তাহাদের ধ্বনি হইবে : হে আল্লাহ্! তুমি মহান, পবিত্র!’ এবং সেখানে তাহাদের অভিবাদন হইবে ‘সালাম’ (শান্তি) এবং তাহাদের শেষ ধ্বনি হইবে এই : সকল প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ্র প্রাপ্য।সূরা ইউনুস, ১০।
৪। قِيلَ يَا نُوحُ اهْبِطْ بِسَلَامٍ مِنَّا وَبَرَكَاتٍ عَلَيْكَ وَعَلَىٰ أُمَمٍ مِمَّنْ مَعَكَ ۚ وَأُمَمٌ سَنُمَتِّعُهُمْ ثُمَّ يَمَسُّهُمْ مِنَّا عَذَابٌ أَلِيمٌ
বলা হইল, হে নূহ্ ! অবতরণ কর আমার পক্ষ হইতে ‘সালাম’ (শান্তি) ও কল্যাণসহ এবং তোমার প্রতি ও যে সমস্ত সম্প্রদায় তোমার সঙ্গে আছে তাহাদের প্রতি ; অপর সম্প্রদায় সমূহকে আমি জীবন উপভোগ করিতে দিব, পরে আমা হইতে মর্মন্তুদ শাস্তি উহাদেরকে স্পর্শ করিবে;সূরা হূদ, ৪৮।
৫। وَلَقَدْ جَاءَتْ رُسُلُنَا إِبْرَاهِيمَ بِالْبُشْرَىٰ قَالُوا سَلَامًا ۖ قَالَ سَلَامٌ ۖ فَمَا لَبِثَ أَنْ جَاءَ بِعِجْلٍ حَنِيذٍ
আমার ফিরিশ্তাগণ তো সুসংবাদ লইয়া ইব্রাহীমের নিকট আসিল। তাহারা বলিল, সালাম’। সেও বলিল, সালাম’। সে অবিলম্বে এক কাবাবকৃত গো-বৎস লইয়া আসিল।সূরা হূদ, ৬৯।
৬।سَلَامٌ عَلَيْكُمْ بِمَا صَبَرْتُمْ ۚ فَنِعْمَ عُقْبَى الدَّارِ
এবং বলিবে, তোমরা ধৈর্য ধারণ করিয়াছ বলিয়া তোমাদের প্রতি ‘সালাম’ (শান্তি); কত উত্তম এই পরিণাম।সূরা রা’দ, ২৪।
৭। وَأُدْخِلَ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِمْ ۖ تَحِيَّتُهُمْ فِيهَا سَلَامٌ
যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাহাদেরকে দাখিল করা হইবে জান্নাতে যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে, তাহাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে, সেখানে তাহাদের অভিবাদন হইবে ‘সালাম’।সূরা ইবরাহীম, ২৩।
৮।ادْخُلُوهَا بِسَلَامٍ آمِنِينَ
তাহাদেরকে বলা হইবে, তোমরা ‘সালাম’ (শান্তি) ও নিরাপত্তার সঙ্গে উহাতে প্রবেশ কর।’সূরা হিজর, ৪৬।
৯। إِذْ دَخَلُوا عَلَيْهِ فَقَالُوا سَلَامًا قَالَ إِنَّا مِنْكُمْ وَجِلُونَ
যখন উহারা তাহার নিকট উপস্থিত হইয়া বলিল, ‘সালাম’, তখন সে বলিয়াছিল, আমরা তো তোমাদের আগমনে আতঙ্কিত।’সূরা হিজর, ৫২।
১০। الَّذِينَ تَتَوَفَّاهُمُ الْمَلَائِكَةُ طَيِّبِينَ ۙ يَقُولُونَ سَلَامٌ عَلَيْكُمُ ادْخُلُوا الْجَنَّةَ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ
ফিরিশ্তাগণ যাহাদের মৃত্যু ঘটায় পবিত্র থাকা অবস্থায়। ফিরিশতাগণ বলিবে, তোমাদের প্রতি ‘সালাম’ (শান্তি)! তোমরা যাহা করিতে তাহার ফলে জান্নাতে প্রবেশ কর।’সূরা নাহল, ৩২।
১১।وَسَلَامٌ عَلَيْهِ يَوْمَ وُلِدَ وَيَوْمَ يَمُوتُ وَيَوْمَ يُبْعَثُ حَيًّا
তাহার প্রতি ‘সালাম’ (শান্তি) যেদিন সে জন্মলাভ করে, যেদিন তাহার মৃত্যু হইবে এবং যেদিন সে জীবিত অবস্থায় উত্থিত হইবে।সূরা মারয়াম, ১৫।
১২। وَالسَّلَامُ عَلَيَّ يَوْمَ وُلِدْتُ وَيَوْمَ أَمُوتُ وَيَوْمَ أُبْعَثُ حَيًّا
আমার প্রতি সালাম (শান্তি) যেদিন আমি জন্মলাভ করিয়াছি, যেদিন আমার মৃত্যু হইবে এবং যেদিন জীবিত অবস্থায় আমি উত্থিত হইব।’সূরা মারয়াম, ৩৩।
১৩।قَالَ سَلَامٌ عَلَيْكَ ۖ سَأَسْتَغْفِرُ لَكَ رَبِّي ۖ إِنَّهُ كَانَ بِي حَفِيًّا
ইব্রাহীম বলিল, তোমার প্রতি সালাম। আমি আমার প্রতিপালকের নিকট তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিব, নিশ্চয় তিনি আমার প্রতি অতিশয় অনুগ্রহশীল।সূরা মারয়াম, ৪৭।
১৪। لَا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا إِلَّا سَلَامًا ۖ وَلَهُمْ رِزْقُهُمْ فِيهَا بُكْرَةً وَعَشِيًّا
সেখানে তাহারা সালাম (শান্তি)’ ব্যতীত কোন অসার বাক্য শুনিবে না এবং সেখানে সকাল-সন্ধ্যা তাহাদের জন্য থাকিবে জীবনোপকরণ।সূরা মারয়াম, ৬২।
১৫। فَأْتِيَاهُ فَقُولَا إِنَّا رَسُولَا رَبِّكَ فَأَرْسِلْ مَعَنَا بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَا تُعَذِّبْهُمْ ۖ قَدْ جِئْنَاكَ بِآيَةٍ مِنْ رَبِّكَ ۖ وَالسَّلَامُ عَلَىٰ مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَىٰ
সুতরাং তোমরা তাহার নিকট যাও এবং বল, আমরা তোমার প্রতিপালকের রাসূল, সুতরাং আমাদের সঙ্গে বনী ইস্রাঈলকে যাইতে দাও এবং তাহাদেরকে কষ্ট দিও না, আমরা তো তোমার নিকট আনিয়াছি তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে নিদর্শন এবং সালাম (শান্তি) তাহাদের প্রতি যাহারা অনুসরণ করে সৎপথ।সূরা তহা, ৪৭।
১৬। وَإِذَا سَمِعُوا اللَّغْوَ أَعْرَضُوا عَنْهُ وَقَالُوا لَنَا أَعْمَالُنَا وَلَكُمْ أَعْمَالُكُمْ سَلَامٌ عَلَيْكُمْ لَا نَبْتَغِي الْجَاهِلِينَ
উহারা যখন অসার বাক্য শ্রবণ করে তখন উহারা তাহা উপেক্ষা করিয়া চলে এবং বলে, আমাদের কাজের ফল আমাদের জন্য এবং তোমাদের কাজের ফল তোমাদের জন্য ; তোমাদের প্রতি সালাম’। আমরা অজ্ঞদের সঙ্গ চাহি না।’সূরা কাসাস, ৫৫।
১৭। تَحِيَّتُهُمْ يَوْمَ يَلْقَوْنَهُ سَلَامٌ ۚ وَأَعَدَّ لَهُمْ أَجْرًا كَرِيمًا
যেদিন তাহারা আল্লাহ্র সঙ্গে সাক্ষাত করিবে, সেদিন তাহাদের প্রতি অভিবাদন হইবে সালাম’। তিনি তাহাদের জন্য প্রস্তুত রাখিয়াছেন উত্তম প্রতিদান।সূরা আহযাব, ৪৪।
১৮।سَلَامٌ قَوْلًا مِنْ رَبٍّ رَحِيمٍ
সালাম, পরম দয়ালু প্রতিপালকের পক্ষ হইতে সম্ভাষণ।সূরা ইয়াসীন, ৫৮।
১৯। وَسِيقَ الَّذِينَ اتَّقَوْا رَبَّهُمْ إِلَى الْجَنَّةِ زُمَرًا ۖ حَتَّىٰ إِذَا جَاءُوهَا وَفُتِحَتْ أَبْوَابُهَا وَقَالَ لَهُمْ خَزَنَتُهَا سَلَامٌ عَلَيْكُمْ طِبْتُمْ فَادْخُلُوهَا خَالِدِينَ
যাহারা তাহাদের প্রতিপালককে ভয় করিত তাহাদেরকে দলে দলে জানড়বাতের দিকে লইয়া যাওয়া হইবে। যখন তাহারা জান্নাতের নিকট উপস্থিত হইবে ও ইহার দ্বার সমূহ খুলিয়া দেওয়া হইবে এবং জান্নাতের রক্ষীরা তাহাদেরকে বলিবে, তোমাদের প্রতি সালাম’, তোমরা সুখী হও এবং জান্নাতে প্রবেশ কর স্থায়ি ভাবে অবস্থিতির জন্য।’সূরা যুমার, ৭৩।
২০।فَاصْفَحْ عَنْهُمْ وَقُلْ سَلَامٌ ۚ فَسَوْفَ يَعْلَمُونَ
সুতরাং তুমি উহাদেরকে উপেক্ষা কর এবং বল, সালাম’; উহারা শীঘ্রই জানিতে পারিবে।সূরা যুখরুফ, ৮৯।
২১। إِذْ دَخَلُوا عَلَيْهِ فَقَالُوا سَلَامًا ۖ قَالَ سَلَامٌ قَوْمٌ مُنْكَرُونَ
যখন উহারা তাহার নিকট উপস্থিত হইয়া বলিল, সালাম’। উত্তরে সে বলিল,সালাম’। ইহারা তো অপরিচিত লোক।সূরা যারিয়াত, ২৫।
২২।سَلَامٌ هِيَ حَتَّىٰ مَطْلَعِ الْفَجْرِ
সালাম (শান্তিই শান্তি), সেই রজনী ঊষার আবির্ভাব পর্যন্ত।সূরা কদর, ৫।এছাড়াও আরো আয়াত রয়েছে।
1. নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা আদাম (আঃ) –কে তাঁর যথাযোগ্য গঠনে সৃষ্টি করেছেন, তাঁর উচ্চতা ছিল ষাট হাত। তিনি তাঁকে সৃষ্টি করে বললেনঃ তুমি যাও। উপবিষ্ট ফেরেশতাদের এই দলকে সালাম করো এবং তুমি মনোযোগ সহকারে শোনবে তারা তোমার সালামের কী জবাব দেয়? কারণ এটাই হবে তোমার ও তোমার বংশধরের সম্ভাষণ (তাহিয়্যা)। তাই তিনি গিয়ে বললেনঃ ‘আস্সালামু ‘আলাইকুম’। তাঁরা জবাবে বললেনঃ ‘আস্সালামু ‘আলাইকা ওয়া রহমাতুল্লাহ’। তাঁরা বাড়িয়ে বললেনঃ ‘ওয়া রহমাতুল্লাহ’ বাক্যটি। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বললেনঃ যারা জান্নাতে প্রবেশ করবে তারা আদাম (আঃ) –এর আকৃতি বিশিষ্ট হবে। তারপর থেকে এ পর্যন্ত মানুষের আকৃতি ক্রমশঃ কমে আসছে।(ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৮১) — সহিহ বুখারী:6227
2. নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বয়োকনিষ্ঠ বয়োজ্যেষ্ঠকে, পদচারী উপবিষ্টকে এবং অল্প সংখ্যক অধিক সংখ্যককে সালাম দিবে। [৬২৩২, ৬২৩৩,৬২৩৪; মুসলিম ৩৯/১, হাঃ ২১৬০, হাঃ ১০৬২৯] (আ. প্র. ৫৭৯০, ই. ফা. ৫৬৮৫) — সহিহ বুখারী:6231
3. রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আরোহী পদচারীকে, পদচারী উপবিষ্টকে এবং অল্প সংখ্যক অধিক সংখ্যককে সালাম দিবে। [৬২৩১] (আ. প্র. ৫৭৯১, ই. ফা. ৫৬৮৬)
4. রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন সাতটি কাজেরঃ রোগীর খোঁজ-খবর নেয়া, জানাযার সঙ্গে যাওয়া, হাঁচি দাতার জন্য দু’আ করা, দুর্বলকে সাহায্য করা, মাযলূমের সাহায্য করা, সালাম প্রসার করা এবং কসমকারীর কসম পূর্ণ করা। আর নিষেধ করেছেন (সাতটি কাজ থেকে): রূপার পাত্রে পানাহার, স্বর্ণের আংটি পরিধান, রেশমী যিনের উপর সাওয়ার হওয়া, মিহিন রেশমী বস্ত্র পরিধান, পাতলা রেশম বস্ত্র ব্যবহার, রেশম মিশ্রিত কাতান বস্ত্র পরিধান এবং গাঢ় রেশমী বস্ত্র পরিধান করা।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৯৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৮৮) — সহিহ বুখারী:6235
5. এক লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করলঃ ইসলামে কোন কাজ উত্তম? তিনি বললেনঃ তুমি ক্ষুধার্তকে অন্ন দেবে, আর সালাম দেবে যাকে তুমি চেন আর যাকে চেন না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৮৯) — সহিহ বুখারী:6236
6. নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেছেনঃ কোন মুসলিমের পক্ষে তার কোন ভাইয়ের সাথে তিন দিনের অধিক এমনভাবে সম্পর্কচ্ছেদ করে থাকা বৈধ নয় যে, তাদের দু’জনের দেখা সাক্ষাৎ হলেও একজন এদিকে, আরেকজন অন্যদিকে চেহারা ঘুরিয়ে নেয়। তাদের মধ্যে উত্তম ঐ ব্যক্তি যে প্রথম সালাম করবে। আবূ সুফ্ইয়ান (রাঃ) বলেন যে, এ হাদীসটি আমি যুহ্রী (রহঃ) থেকে তিনবার শুনেছি।(আধুনিক প্রকাশনী- , ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৯০) — সহিহ বুখারী:6237
7. রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুসলিমের প্রতি মুসলিমের হক ছয়টি। প্রশ্ন করা হলো- সেগুলো কী, হে আল্লাহর রসূল! তিনি বললেন, (সেগুলো হলো-) ১. কারো সাথে তোমার দেখা হলে তাকে সালাম করবে, ২. তোমাকে দা’ওয়াত করলে তা তুমি কবূল করবে, ৩. সে তোমার নিকট ভাল উপদেশ চাইলে, তুমি তাকে ভাল উপদেশ দিবে, ৪. সে হাঁচি দিয়ে ‘আলহাম্দু লিল্লাহ’ বললে, তার জন্যে তুমি (ইয়ারহামুকাল্লাহ্ বলে) রহ্মাতের দু’আ করবে, ৫. সে পীড়িত হলে তার সেবা-শুশ্রুষা করবে এবং ৬. সে মৃত্যুবরণ করলে তার (জানাযার) সাথে যাবে। (ই.ফা. ৫৪৬৬, ই.সে. ৫৪৮৮) — সহিহ মুসলিম:5544
8. আহলে কিতাবের কেউ যদি তোমাদের সালাম করে তোমরা (শুধু এতটুকু) বলবে- ওয়া ‘আলাইকুম- (তোমাদের প্রতিও)। (ই.ফা. ৫৪৬৭, ই.সে. ৫৪৮৯) — সহিহ মুসলিম:5545
9. রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাহাবীগন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে প্রশ্ন করলেন, আহলে কিতাবরা তো আমাদের সালাম দিয়ে থাকে, আমরা কেমন করে তাদের উত্তর দিব? তিনি বললেন, তোমরা বলবে, “ওয়া ‘আলাইকুম”। (ই.ফা. ৫৪৬৮, ই.সে. ৫৪৯০) — সহিহ মুসলিম:5546
10. রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইয়াহূদী ও নাসারাদের আগে বাড়িয়ে সালাম করো না এবং তাদের কাউকে রাস্তায় দেখলে তাকে রাস্তার পাশে চলতে বাধ্য করো। (ই.ফা. ৫৪৭৬, ই.সে. ৫৪৯৮) — সহিহ মুসলিম:5554
11. রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদল বালকের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন, সে সময় তিনি তাদের সালাম দিলেন। (ই.ফা. ৫৪৭৮, ই.সে. ৫৫০০) — সহিহ মুসলিম:5556
12. তিনি বলেন, আমি সাবিত বুনানী (রহঃ) -এর সাথে হাঁটতে ছিলাম। তিনি একদল কিশোরের নিকট দিয়ে গমনের সময় তাদের সালাম দিলেন এবং (তখন) সাবিত (রহঃ) হাদীস বর্ণনা করলেন যে, তিনি আনাস (রাঃ) -এর সাথে পায়ে হেঁটে চলছিলেন। তিনি (আনাস) একদল কিশোরের নিকট দিয়ে গেলেন এবং তাদের সালাম দিলেন, আনাস (রাঃ) হাদীস বর্ণনা করেন যে, তিনি (একবার) রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে পায়ে হেঁটে চলছিলেন, তিনি, নাবী, (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিশোরদের নিকট দিয়ে চললেন এবং তাদের সালাম দিলেন। (ই.ফা. ৫৪৭৯ ই.সে. ৫৫০২) — সহিহ মুসলিম:5558
13. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট একজন লোক এসে বলল, আসসালামু আলাইকুম।নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ দশ (নেকী)। তারপর অন্য এক লোক এসে বলল, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ বিশ। অতঃপর আরেক লোক এসে বলল, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ত্রিশ।সহীহঃ তা’লীকুর রাগীব (৩/২৬৮) — জামে’ আত-তিরমিজি:2689
14. তিনি বলেন, আবূ মূসা (রাঃ) ‘উমার (রাঃ) এর নিকট অনুমতি চেয়ে বলেন, আসসালামু আলাইকুম, আমি কি আসতে পারি? ‘উমার (রাঃ) বলেন, এক। আবূ মূসা (রাঃ) কিছুক্ষণ চুপ থাকলেন। তিনি আবারও সালাম দিয়ে বলেন, আমি কি ভিতরে আসতে পারি? ‘উমার (রাঃ) বলেন, দুই। তারপর আবূ মূসা (রাঃ) অল্প সময় নীরবতা অবলম্বন করলেন। তিনি আবার বললেন, আসসালামু আলাইকুম, আমি কি আসতে পারি? ‘উমার (রাঃ) বললেন, তিন। এবার তিনি চলে যেতে লাগলেন। ‘উমার (রাঃ) প্রহরীকে জিজ্ঞেস করলেন, তিনি কি করছেন? প্রহরী বলল, তিনি চলে গেছেন। তিনি বললেন, তাকে আমার নিকট ফিরিয়ে নিয়ে এসো। তারপর তিনি উমারের সামনে এলে তিনি প্রশ্ন করলেন, আপনি এরকম করলেন কেন? তিনি বললেন, আমি সুন্নাত পালন করেছি। ‘উমার (রাঃ) বললেন, সুন্নাত পালন করেছেন? আল্লাহর কসম! এর স্বপক্ষে আপনাকে দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে, তা না হলে আমি আপনার ব্যবস্থা করছি (অর্থাৎ- শাস্তি দিব)। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর তিনি (আবূ মূসা) আমাদের নিকট আসলেন। আমরা কয়জন আনসারী বন্ধু একসাথে বসে ছিলাম। তিনি বললেন, হে আনসার সম্প্রদায়! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাদীস সম্পর্কে কি তোমরা সবার চাইতে বেশি জ্ঞাত নও? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি বলেননি যে, তিনবার অনুমতি চাইতে হবে? তারপর তোমাকে অনুমতি দিলে তো দিল, নতুবা ফিরে যাবে। উপস্থিত লোকজন তার সাথে কৌতুক করতে লাগল। আবু সা‘ঈদ (রাঃ) বলেন, এবার আমি মাথা তুলে তার দিকে তাকালাম এবং বললাম, আপনার উপর এ ব্যাপারে কোন শাস্তি হলে আমি আপনার অংশীদার হব। রাবী বলেন, তারপর তিনি উমারের নিকট এসে এ ঘটনা বললেন। ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমি এ সম্পর্কে জানতাম না।সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। — জামে’ আত-তিরমিজি:2690
15. তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সে সময়ে মসজিদের এক পাশে বসা ছিলেন। লোকটি নামায আদায় করে এসে তাঁকে সালাম করল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ওয়াআলাইকা, তুমি ফিরে গিয়ে আবার নামায আদায় কর। তারপর তিনি দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করলেন।সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১১৬০), বুখারী ও মুসলিম। — জামে’ আত-তিরমিজি:2692
16. তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেন, জিবরীল (আঃ) তোমাকে সালাম দিয়েছেন। তিনি (‘আয়িশাহ) বললেন, ওয়া ‘আলাইহিস সালামু ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম — জামে’ আত-তিরমিজি:2693
17. তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! দু’জন লোকের মধ্যে সাক্ষাৎ হলে কে প্রথম সালাম দিবে? তিনি বললেনঃ তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার বেশি নিকটবর্তী।সহীহঃ মিশকাত (৪৬৪৬), তাখরীজুল কালিমিত তাইয়্যিব (১৯৮)। — জামে’ আত-তিরমিজি:2694
18. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বিজাতির অনুকরণকারী ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়। তোমরা ইয়াহূদী-নাসারাদের অনুকরণ করো না। কেননা ইয়াহূদীগণ আঙ্গুলের ইশারায় এবং নাসারাগণ হাতের ইশারায় সালাম দেয়।হাসানঃ সহীহাহ (২১৯৪) — জামে’ আত-তিরমিজি:2695
19. তিনি বলেন, কোন এক সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। সেখানে একদল মহিলা বসা ছিল। তিনি হাত উঠিয়ে তাদেরকে সালাম দিলেন। ‘আবদুল হামীদ তার হাতের ইশারায় বুঝিয়ে দিলেন।– জামে’ আত-তিরমিজি:2697
20. তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেনঃ হে বৎস! তুমি যখন তোমার পরিবার-পরিজনের নিকটে যাও, তখন সালাম দিও। তাতে তোমার ও তোমার পরিবার-পরিজনের কল্যাণ হবে।হাদীসটির সানাদ দুর্বল। — জামে’ আত-তিরমিজি:2698
21. তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কথা-বার্তা বলার আগেই সালাম বিনিময় হবে।হাসানঃ সহীহাহ (৮১৬)। — জামে’ আত-তিরমিজি:2699
22. তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়াহূদী-মুসলিম সম্মিলিত একটি সমাবেশের পাশ দিয়ে চলার সময় তাদেরকে সালাম দিলেন।সহীহঃ বুখারী (৬২৫৪), মুসলিম (৫/১৮২-১৮৩)। — জামে’ আত-তিরমিজি:2702
23. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ কোন মাজলিসে উপস্থিত হলে সে যেন সালাম করে, তারপর তার ইচ্ছা হলে বসে পড়বে। তারপর সে যখন উঠে দাঁড়াবে, তখনো যেন সালাম করে। কেননা পরের সালামের চাইতে প্রথম সালাম বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়।হাসান সহীহঃ সহীহাহ (১৮৩), তাখরীজুল কালিম (২০১)। — জামে’ আত-তিরমিজি:2706
24. সাফওয়ান ইবনু উমাইয়্যা (রাঃ) তাকে কিছু দুধ, ছানা ও তরকারীসহ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট পাঠান। সে সময়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপত্যকার উপরে অবস্থান করছিলেন। তিনি (কালাদাহ্) বলেন, আমি অনুমতিও চাইলাম না, সালামও করলাম না, বরং এমনি তাঁর নিকট চলে গেলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ তুমি ফিরে গিয়ে বল, আস্সালামু আলাইকুম, আমি কি আসতে পারি? (তারপর আমার নিকট এসো)। আর এ ঘটনাটি সাফওয়ানের ইসলাম গ্রহণের পরের।সহীহঃ সহীহাহ্ (৮১৮) — জামে’ আত-তিরমিজি:2710
25. তিনি বলেন, আমি এবং আমার দু’জন সাথী এমন অবস্থায় (মাদীনায়) পৌছালাম যে, আমাদের চোখ-কান ক্ষুধার যন্ত্রণায় অচল হয়ে যাওয়ার উপক্রম হল। তারপর আমরা আমাদেরকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাহাবীদের নিকট উপস্থাপন করতে লাগলাম; কিন্তু কেউই আমাদেরকে গ্রহণ করলেন না। অবশেষে আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট হাযির হলাম। তিনি আমাদেরকে নিয়ে তাঁর পরিবারের নিকট গেলেন। সেখানে তিনটি বকরী ছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা এগুলোর দুধ দোহন কর। তারপর আমরা এগুলো দোহন করে প্রত্যেকেই যার যার অংশের দুধ পান করতাম এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর অংশ উঠিয়ে রেখে দিতাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের বেলায় আসতেন এবং এমনভাবে সালাম দিতেন যে, ঘুমন্ত লোকেরা জাগ্রত হত না অথচ জাগ্রত লোকেরা তা শুনতে পেত। তারপর তিনি মসজিদে গিয়ে নাময আদায় করতেন, তারপর তাঁর জন্য রাখা দুধ পান করতেন।সহীহঃ আদাবুয্ যিফা-ফ নতুন সংস্করণ (১৬৭-১৯৬), মুসলিম — জামে’ আত-তিরমিজি:2719
26. নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর প্রস্রাবরত অবস্থায় একজন লোক তাঁকে সালাম দিল। কিন্তু তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সালামের উত্তর দেননি।হাসান সহীহঃ ৯০ নং হাদীসের পুনরুক্তি। — জামে’ আত-তিরমিজি:2720
27. তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে খোঁজ করে না পেয়ে বসে রইলাম। এরই মধ্যে আমি তাঁকে একদল লোকেরা মাঝে দেখতে পেলাম, কিন্তু আমি তাঁকে চিনতাম না। তাদের মাঝে তিনি মীমাংসা করেছিলেন। কাজ শেষে কয়েকজন তাঁর সাথে উঠে দাড়ালো এবং বলল, হে আল্লাহ্র রাসূল ! আমি ইহা দেখে তাঁকে বললাম, ‘আলাইকাস্ সালামু ইয়া রাসূলুল্লাহ! তিনি বললেনঃ “আলাইকাস্ সালামু ” হল মৃত ব্যক্তির জন্য সালাম। এ কথাটি তিনি তিন বার বললেন। তারপর তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেনঃ কোন ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের সাথে সাক্ষাতের সময় যেন বলে, “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্মাতুল্লাহি”। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার সালামের উত্তর দিলেনঃ ওয়া ‘আলাইকা ওয়া রাহ্মাতুল্লাহ, ওয়া ‘আলাইকা ওয়া ‘আলাইকা ওয়া রাহ্মাতুল্লাহ।সহীহঃ সহীহাহ্ (১৪০৩) — জামে’ আত-তিরমিজি:2721
28. তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললাম, ‘আলাইকাস্ সালাম’। তিনি বললেন, ‘আলাইকাস্ সালাম বল না বরং ‘ আসসালামু ‘আলাইকা’ বল। তারপর তিনি দীর্ঘ ঘটনা বর্ণনা করেন। সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস। — জামে’ আত-তিরমিজি:272229.
29. তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের এখানে আসলেন, আমরা ছিলাম বালক। তিনি আমাদের সালাম দিলেন। [৩০৩২] — সুনানে ইবনে মাজাহ:370030.
30. তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মহিলাদের নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের সালাম দিয়েছেন। [৩০৩৩] — সুনানে ইবনে মাজাহ:3701
এছাড়াও আরো হাদীছ রয়েছে। আল্লাহ হাফিয।
মুফতী মাসুম বিল্লাহ ।
সিনিয়র মুহাদ্দিস ও মুফতি -জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম,ঢাকা।
খতিব-আল মদিনা জামে মসজিদ, ইস্টার্ন হাউজিং, মিরপুর, ঢাকা।
Sharia Specialist, Islamic Economist, Banking & Finance Expert.
Khatib & Mufassir at Al Madina Jame Masjid at Eastern Housing, Pallabi Phase-2, Mirpur 11 ½.
Senior Muhaddis & Mufti at Jamia Islamia Darul Uloom Dhaka,Masjidul Akbar Complex, Mirpur-1,Dhaka-1216
Ustazul fiqh & Ifta at مركز البحوث الاسلامية داكا. Markajul Buhus Al Islamia Dhaka