ঋণগ্রস্ত মৃত ব্যক্তির জানাযার নামায পড়া ও দুআ করা কি বৈধ ?

By | April 8, 2021

প্রশ্ন:

ঋণগ্রস্ত মৃত ব্যক্তির জানাযার নামায পড়া ও দুআ করা কি বৈধ ?

উত্তর: وبالله سبحانه التوفيق

ঋণগ্রস্ত মৃত ব্যক্তির জানাযার নামায পড়া ও দুআ করায় কোন বাধা নাই। ইসলামের শুরু যুগে ঋণগ্রস্ত মৃত ব্যক্তির জানাযার নামায নবীজী সল্লাল্লহু আলায়হি অসাল্লাম নিজে না পড়িয়ে অন্যকে পড়ানোর নির্দেশ দিতেন ঋণ বোঝা থেকে কঠোরতা ও অনুৎসাহিত করার জন্য।

যেমন এক বর্ণনায় এসেছে-

হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট কোনো ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জানাযা উপস্থিত করা হলে, তিনি জিজ্ঞাসা করতেন, তার পরিত্যক্ত সম্পদে ঋণ আদায়ের মত সম্পদ আছে কি?

লোকেরা যদি বলত, হাঁ, আছে। তাহলে তিনি তার জানাযা পড়তেন। আর না হয় তিনি নিজে না পড়ে লোকদেরকে বলতেন, তোমরা নামায পড়ে নাও।-সহীহ বুখারী, ২২৯৮

আরেক বর্ণনায় এসেছে,

এক জানাযা উপস্থিত হল। নবীজী জিজ্ঞাসা করলেন, সে কি ঋণগ্রস্ত ছিল? লোকেরা বলল, হাঁ সে ঋণগ্রস্ত ছিল।

তখন তিনি বললেন, তোমরা ওর জানাযা পড়ে নাও। উপস্থিত আবু কাতাদা রা.এ অবস্থা দেখে বললেন, আল্লাহর রাসূল, আমি তার ঋণ পরিশোধ করে দিব। একথা বলার পর নবীজীও জানাযা পড়লেন। -সহীহ বুখারী, ২২৯৫

কিন্তু সহীহ বুখারীর উক্ত বর্ণনাটি ইসলামের শুরু যুগের, পরবর্তিতে বিভিন্ন বিজয়ে প্রাচুর্যতা হলে তা মানসূখ হয়।

যা ইমাম মুবারকপুরী তুহফাতুল আহওয়াযীতে বলেছেন।

হাদীসটির ব্যাখ্যা দেওয়ার সময় তিনি তুহফাতুল আহওয়াযীতে বলেছেন:

আল-মুনযিরী আল-তারগীবের ভাষায় বলেছেন:

এটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে প্রমাণিত, তিনি ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জানাযা পড়তেন না। অতঃপর তিনি তা বাতিল করলেন এবং এ হাদিসটি উল্লেখ করলেন।

যেমন সুনানে তিরমিযীর বর্ণনায় এসেছে-

ঋণগ্রস্ত মৃত ব্যক্তিকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট নিয়ে আসা হলে তিনি প্রশ্ন করতেন, তার ঋণ পরিশোধ করার মত কোন কিছু রেখে গেছে কি এ ব্যক্তি? সে লোক ঋণ পরিশোধ করার মত সম্পদ রেখে গেছে বলা হলে তবে তিনি তার জানাযার নামায আদায় করতেন। অন্যথায় তিনি মুসলমানদের বলতেনঃ তোমাদের ভাইয়ের জানাযার নামায তোমরা আদায় কর। তারপর তাঁকে আল্লাহ তা’আলা অসংখ্য বিজয় দিলে তিনি দাঁড়িয়ে বললেনঃ মু’মিনদের জন্য তাদের নিজেদের চাইতেও আমি বেশি কল্যাণকামী। অতএব, মুমিনদের মাঝে কোন লোক যদি ঋণগ্রস্ত হয়ে মারা যায় তবে তা পরিশোধ করার দায়িত্ব আমার। আর ধন-সম্পদ রেখে যে ব্যক্তি মারা যায় তা তার ওয়ারিসদের প্রাপ্য।

— জামে’ আত-তিরমিজি:১০৭০, ইবনু মা-জাহ (২৪১৫),

এটি একটি ছহীহ হাদীস।

এটি আল- আলবানী ও অন্যান্যদের দ্বারা বর্ণিত সহীহ হাদীস ।

সুতরাং ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জানাযা পড়ায় সমস্যা নাই। والله تعالى اعلم

قال القاضي وغيره:

امتناع النبي صلى الله عليه وسلم عن الصلاة على المديون إما للتحذير عن الدين والزجر عن المماطلة والتقصير في الأداء، أو كراهة أن يوقف دعاءه بسبب ما عليه من حقوق الناس ومظالمهم.

وقال القاضي ابن العربي في العارضة: وامتناعه من الصلاة لمن ترك عليه ديناً تحذيراً عن التقحم في الديون لئلا تضيع أموال الناس؛ كما ترك الصلاة على العصاة زجراً عنها حتى يجتنب خوفاً من العار ومن حرمان صلاة الإمام وخيار المسلمين. انتهى.

وقيل: إن الحديث منسوخ بحديث آخر وهو كما في رواية الترمذي عن أبي هريرة: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يؤتى بالرجل المتوفى عليه الدين فيقول: هل ترك لدينه من قضاء، فإن حدث أنه ترك وفاء صلى عليه، وإلا قال للمسلمين: صلوا على صاحبكم. فلما فتح الله عليه الفتوح قام فقال: أنا أولى بالمؤمنين من أنفسهم، فمن توفي من المسلمين فترك ديناً علي قضاؤه، ومن ترك مالاً فهو لورثته. وهو حديث صحيح كما ذكر الألباني وغيره.

قال في تحفة الأحوذي عند شرح الحديث: قال المنذري في الترغيب: قد صح عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه كان لا يصلي على المدين ثم نسخ ذلك وذكر هذا الحديث. انتهى.

وفي سنن أبي داود عن أبي موسى الأشعري عن رسول الله صلى الله عليه وسلم أنه قال: إن أعظم الذنوب عند الله أن يلقاه بها عبد بعد الكبائر التي نهى الله عنها أن يموت رجل وعليه دين لا يدع له قضاء. وهو حديث ضعيف، كما ذكر الألباني.

قال في عون المعبود عند شرح هذا الحديث: فعل الكبائر عصيان الله تعالى وأخذ الدين ليس بعصيان، بل الاقتراض والتزام الدين جائز، وإنما شدد رسول الله صلى الله عليه وسلم على من مات وعليه دين ولم يترك ما يقضي دينه كيلا تضيع حقوق الناس. انتهى. كذا في المرقاة، قال العزيزي: هذا محمول على ما إذا قصر في الوفاء أو استدان لمعصية. انتهى.

ومن هذا يعلم أن المثالين المذكورين في السؤال لا يتناولهما التحذير الذي يتضمنه الحديث المذكور، لا سيما وقد ثبت عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال: من أخذ أموال الناس يريد أداءها أدى الله عنه، ومن أخذها يريد إتلافها أتلفه الله. رواه البخاري.

قال الحافظ ابن حجر عند شرح هذا الحديث: وفيه الترغيب في تحسين النية، والترهيب من ضد ذلك، وأن مدار الأعمال عليها، وفيه الترغيب في الدين لمن ينوي الوفاء. انتهى، أي يؤخذ من هذا الحديث الترغيب في الدين لمن يريد الوفاء.

والله أعلم.

উত্তর প্রদানে

মুফতী মাসূম বিল্লাহ

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *