পারস্পরিক শান্তি প্রতিষ্ঠা কি সম্ভব?

By | February 9, 2021

হাদিসে এসেছে-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন,

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

  1. তোমরা একে অপরকে হিংসা করবে না,
  2. নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ কর না,
  3. পরস্পরে বিদ্বেষ রেখ না,
  4. একে অপরের সঙ্গে শত্রুতা পোষণ কর না,
  5. মূল্য নির্ধারণ হওয়ার পর চড়া দাম দিয়ে অন্যের কেনা জিনিস কিনবে না।

হে আল্লাহর বান্দারা!

  1. পরস্পর ভাই ভাই হয়ে যাও,
  2. এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই।
  3. সে তার ভাই-এর ওপর যুলুম করে না।
  4. তাকে নিগৃহীত করে না,
  5. এবং তাকে হীন জ্ঞান করে না।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ বুকের দিকে অঙুলি নির্দেশ করে তিন বার বলেন-

‘আত-তাকওয়া হা-হুনা অর্থাৎ তাকওয়া এখানে (বুকে)।’

কোনো ব্যক্তি দূরভিসন্ধি বা ষড়যন্ত্র করার জন্য এটাই যথেষ্ট যে,

সে তার মুসলমান ভাইদের হীন জ্ঞান করে।

প্রত্যেক মুসলমানের রক্ত, ধন-সম্পদ আর মান-সম্মান অপর মুসলমানের জন্য হারাম।’ (মুসলিম)

যদি আমরা এ হাদিসের উপর আমল করি তাহলে কি সমাজ বা দেশে কোনো প্রকার অন্যায় হওয়া সম্ভব?

অবশ্যই ‘না’ ; বরং পারস্পরিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় এ হাদিসের আমলই যথেষ্ট।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রিজিকে প্রাচুর্য এবং জীবনের উন্নতি কামনা করে, তার জন্য আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা উচিত।’ (বুখারি)

কাজী নজরুল ‘মানুষ’ কবিতায় কতই না সুন্দর বলেছেন-

গাহি সাম্যের গান-

মানুষের চেয়ে কিছু নাই,

নহে কিছু মহীয়ান,

নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ,

অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে

তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

কেন_নিজেদের_মাঝে_এত_কাদা_ছোড়াছুড়ি_বিভেদ

উত্তর প্রদান :

মুফতী মাসুম বিল্লাহ ।

সিনিয়র মুহাদ্দিস ও মুফতি -জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম,ঢাকা।

খতিব-আল মদিনা জামে মসজিদ, ইস্টার্ন হাউজিং, মিরপুর, ঢাকা।

@muftimasumbillahofficialpage

Facebook Comments Box