প্রশ্ন:
শীতকালে ব্যাডমিন্টন খেলতে
সরাসরি সরকারি লাইন থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বা অন্যের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে খেলা যাবে?
রাস্তায় বা অন্যের জমিতে খেলা যাবে?
হুজুর বিষয়টা বুঝিয়ে বললে ভালো হত। অনেকের মনের আশঙ্কা দূর হত।
উত্তর: وبالله سبحانه التوفيق
শীতের আমেঘ আসলে ব্যাডমিন্টন খেলার প্রচলন রয়েছে বহুকাল হতে। যুবক-মধ্যবয়সীদের পাশাপাশি ছোট ছোট বাবুরাও ব্যাডমিন্টন খেলে থাকে খুব আনন্দ ও মজার সাথে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও খেলাটি বেশ জনপ্রিয়। শীতকাল এলেই বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তায়, মাঠে, খালি জমিতে এই খেলার আয়োজন করা হয়।
এ খেলায় কয়েকটি ট বিষয় লক্ষণীয়:
১.
অনেকেই ব্যাডমিন্টন খেলেন রাতের বেলায়। যার জন্য বেশ পরিমাণে লাইটের আলোর প্রয়োজন হয়, যা বিদ্যুতেই জ্বলে।
এই বিদ্যুৎ জোগান দেওয়া হয় সরাসরি সরকারি লাইন থেকে বা আশপাশের কোনো বাসাবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা দোকান থেকে।
২.
রাস্তায় কোট কেটে বা দাগ দিয়ে খেলা করে। যাতে চলাচলে বিঘ্নতা ঘটে।
কেউ অন্যের জমিতে খেলে। তারা প্রায়শ জমির মালিক থেকে অনুমতি নেয় না।
৩.
অর্থ বা বাজি ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় খেলা করে।
এসব ক্ষেত্রে অনেক সময় এন্ট্রি ফি ও অন্যান্য অর্থ-কড়ি দিতে হয়।
কিংবা জয়ী ব্যক্তি বা দলকে পরাজিত ব্যক্তি বা দল বা গ্রুপ অর্থ-কড়ি বা বস্তু দিতে বাধ্য থাকে।
৪.
অনেকে গভীর রাত পর্যন্ত জেগে খেলেন। আবার অনেকেই পরিবারকে সময় দেয় না। এসব নিয়ে পরিবারে ভয়াবহ মনমালিন্য হয়।
শরয়ী বিশ্লেষণ:
১ম বিষয়:
ক)
সরাসরি সরকারি লাইন থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে ব্যাডমিন্টন খেলা আইনত দণ্ডনীয়। সরকারি আইন অনুযায়ী এভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে তিন বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। (ডিপিডিসি)
তা ছাড়া শরীয়াতের দৃষ্টিতে এটি বিদ্যুৎ চুরির শামিল।
আবু হুরায়রাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে নবী (সা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
চোরের ওপর আল্লাহর অভিশাপ হোক, যখন সে একটি হেলমেট চুরি করে এবং এ জন্য তার হাত কাটা হয় এবং সে একটি রশি চুরি করে এ জন্য তার হাত কাটা হয়।
আ’মাশ (রহ.) বলেন,
তারা মনে করত যে হেলমেট লোহার হতে হবে আর রশির ব্যাপারে তারা ধারণা করত তা কয়েক দিরহামের সমমূল্যের হবে। (বুখারি, হাদিস : ৬৭৮৩)।
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে,
রাসুল (সা.) বলেন, মুমিন চুরি করার সময় ঈমানদার থাকে না। (মুসলিম, হাদিস : ১০৬) ।
উল্লেখ্য, মানুষ কারো ব্যক্তিগত সম্পদ চুরি করলে সে একজনের হক নষ্ট করল।
কিন্তু কেউ যদি জাতীয় সম্পদ চুরি করে, সে গোটা জাতির হক নষ্ট করল। যা অত্যন্ত ভয়াবহ অপরাধ।
তাছাড়াও আপনার বাসার পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎও আল্লহ তাআলার নেয়ামত ও জাতীয় সম্পদ।
যথা বিল পরিশোধ করলেও অযথা অপচয় করার বৈধতা ও সুযোগ নেই।
খ)
কারো ব্যক্তিগত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ব্যাডমিন্টন খেলতে চাইলে অবশ্যই তার অনুমতি নিতে হবে।
নচেৎ সেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করা জায়েজ হবে না।
কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে চাইলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। (আদ্দুররুল মুখতার : ৬/২০০)
অন্যথায় শরীয়াতের দৃষ্টিতে এটি বিদ্যুৎ চুরির শামিল। যা হারাম ও গর্হিত কর্ম।
والأدلة على تحريم ذلك كثيرة منها :
قوله تعالى: {وَالسَّارِقُ وَالسَّارِقَةُ فَاقْطَعُوا أَيْدِيَهُمَا جَزَاءً بِمَا كَسَبَا نَكَالًا مِنَ اللَّهِ وَاللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ} [المائدة:38].
وقوله تعالى: {وَلَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ وَتُدْلُوا بِهَا إِلَى الْحُكَّامِ لِتَأْكُلُوا فَرِيقًا مِنْ أَمْوَالِ النَّاسِ بِالْإِثْمِ وَأَنْتُمْ تَعْلَمُونَ} [البقرة:818].
وعن أبي هريرة رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: “لعن الله السارق يسرق البيضة فتقطع يده ويسرق الحبل فتقطع يده” (رواه البخاري ومسلم).
وعن ابن عباس رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: “لا يزني الزاني حين يزني وهو مؤمن ولا يسرق السارق حين يسرق وهو مؤمن” (رواه البخاري).
وعن أبي حميد الساعدي رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: “لا يحل للرجل أن يأخذ عصا أخيه بغير طيب نفسه” (رواه أحمد، والبيهقي، وابن حبان، وصححه العلامة الألباني في صحيح غاية المرام ص 263).
وعن عبادة بن الصامت رضي الله عنه قال: كنا عند النبي صلى الله عليه وسلم في مجلس فقال: “بايعوني على أن لا تشركوا بالله شيئًا ولا تسرقوا ولا تزنوا” (رواه البخاري ومسلم).
وغير ذلك من الأحاديث.
তবে যদিও ব্যক্তিগত লাইন থেকে অনুমতি নিয়ে বা বিনিময় দিয়ে লাইন নিলে চুরি হবে না,
কিন্তু সেটাও দেশের আইন ও স্বার্থ বিরোধী।
তাই সেটাও নাজায়িয হবে।
لعموم قوله تعالى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ أَوْفُواْ بِالْعُقُودِ} [المائدة:1]،
ولقول النبي صلى الله عليه وسلم: “المسلمون على شروطهم إلا شرطًا حرَّم حلالًا أو أحلَّ حرامًا” (رواه أبو داود، والترمذي وقال:حسن صحيح، ورواه البخاري تعليقًا بصيغة الجزم لكنه بدون الاستثناء، ورواه كذلك الحاكم، وأبو داود عن أبي هريرة بلفظ “المسلمون عند شروطهم” أي بدون الاستثناء.
والقاعدة الفقهية:
تصرف الامام على الرعية منوط بالمصلحة.
তবে কেউ নিজের বাসা থেকে লাইন টানলে তো হয়ত প্রব্লেম নাই।
তদুপরি পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ এসব আল্লহ তাআলার নেয়ামত ও জাতীয় সম্পদ। এগুলোর যথা বিল পরিশোধ করলেও অযথা অপচয় করার বৈধতা ও সুযোগ নেই।
তাই শুধু খেলার জন্য এসব অপচয় থেকে বিরত থাকা জরুরী।
فقد نهى ربنا عنه فقال:
“وَلاَ تُبَذِّرْ تَبْذِيراً * إِنَّ الْمُبَذِّرِينَ كَانُواْ إِخْوَانَ الشَّيَاطِينِ وَكَانَ الشَّيْطَانُ لِرَبِّهِ كَفُوراً” الإسراء ( 26 : 27 )،
ويقول سبحانه وتعالى :
“يَا بَنِي آدَمَ خُذُواْ زِينَتَكُمْ عِندَ كُلِّ مَسْجِدٍ وكُلُواْ وَاشْرَبُواْ وَلاَ تُسْرِفُواْ إِنَّهُ لاَ يُحِبُّ الْمُسْرِفِينَ” (الأعراف : 30) ،
ويقول سبحانه وتعالى:
“وَالَّذِينَ إِذَا أَنفَقُوا لَمْ يُسْرِفُوا وَلَمْ يَقْتُرُوا وَكَانَ بَيْنَ ذَلِكَ قَوَاماً” (الفرقان : 66)،
ويقول سبحانه وتعالى :
“وَلَا تَجْعَلْ يَدَكَ مَغْلُولَةً إِلَى عُنُقِكَ وَلَا تَبْسُطْهَا كُلَّ الْبَسْطِ فَتَقْعُدَ مَلُومًا مَّحْسُورًا”(الإسراء : 29).
قول الرسول المصطفى سيدنا محمد (صلى الله عليه وسلم):
“كلوا واشربوا، والبسوا وتصدقوا، في غير إسرافٍ ولا مخيلةٍ” (رواه البخاري)
فعَنْ سيدنا عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو (رضي الله عنهما) أَنَّ رَسُولَ اللهِ (صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ):
” مَرَّ بِسَعْدٍ وَهُوَ يَتَوَضَّأُ، فَقَالَ : (مَا هَذَا السَّرَفُ ؟ ) فَقَالَ : أَفِي الْوُضُوءِ إِسْرَافٌ ؟ قَالَ : “نَعَمْ ، وَإِنْ كُنْتَ عَلَى نَهَرٍ جَارٍ” (رواه ابن ماجة).
২য় বিষয়:
অন্যের ব্যক্তিমালিকানাভূক্ত জমিতে ব্যাডমিন্টন খেলতে চাইলে অবশ্যই তার অনুমতি নিতে হবে।
নচেৎ অনুমতি ব্যতিরেকে অন্যের জমিতে খেলা করা জায়েজ হবে না।
কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মাঠ ব্যবহার করতে চাইলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।
والأدلة على تحريم ذلك كثيرة منها :
وقوله تعالى: {وَلَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ وَتُدْلُوا بِهَا إِلَى الْحُكَّامِ لِتَأْكُلُوا فَرِيقًا مِنْ أَمْوَالِ النَّاسِ بِالْإِثْمِ وَأَنْتُمْ تَعْلَمُونَ} [البقرة:818].
وعن أبي حميد الساعدي رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: “لا يحل للرجل أن يأخذ عصا أخيه بغير طيب نفسه” (رواه أحمد، والبيهقي، وابن حبان، وصححه العلامة الألباني في صحيح غاية المرام ص 263).
وغير ذلك من الأحاديث.
(আদ্দুররুল মুখতার : ৬/২০০)
বর্তমানে যারা অন্যের জমিতে খেলে তারা প্রায় জমির মালিক থেকে অনুমতি নেয় না।
অবশ্য কোন কোন জমির মালিক খেলতে দেখলে স্পষ্টভাবে নিষেধ করে না,
আর যদি দেখেও কিন্তু কিছু বলে না,
বা অনেক সময় মালিকের ছেলেও তাদের সাথে খেলে,
মালিক এইটা বারবার দেখে তারপরেও কিছু বলে না।
বা কারো এমন পরিত্যাক্ত জমি, যেখানে খেলতে খেলতে তা খেলার মাঠে পরিণত হয়েছে অর্থাৎ সে জমির মালিক মনে মনে কষ্ট পায় না বা নিষেধ করে না খেলতে।
এটাকে মৌন সম্মতি ও অনুমতি ধরা যায়। স্পষ্ট অনুমতি না নিলেও অনুমতি ধরে খেলা যায়।
কিন্তু অনুমতি নেওয়াটাই আদব ও শিষ্টাচার।
তাই জমি খালি পড়ে থাকুক বা না থাকুক অবশ্যই অনুমতি নিয়ে খেলা উচিত এবং এটিই শিষ্টাচার। ইসলাম শিষ্টাচারই শেখায়।
তবে যদি কোন ভয়, আতঙ্ক বা ত্রাসের কারণে চুপ থাকে বা কিছু না বলে তাহলে তা মৌন সম্মতি ও অনুমতি ধরা যাবে না, বরং নাজায়িয হবে।
তদ্রুপ আবার অনেক মালিক আছেন যারা স্পষ্ট নিষেধ করেন। তারপরেও খেলে। এটাও জায়েজ হবে না।
৩য় বিষয়:
অর্থ বা বাজি ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় খেলা করে।
এসব ক্ষেত্রে অনেক সময় এন্ট্রি ফি ও অন্যান্য অর্থ-কড়ি দিতে হয়।
কিংবা জয়ী ব্যক্তি বা দল বা গ্রুপকে পরাজিত ব্যক্তি বা দল বা গ্রুপ অর্থ-কড়ি বা বস্তু দিতে বাধ্য থাকে।
এসব স্পষ্ট হারাম ও অবশ্য পরিত্যাজ্য।
তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, অনেকে এই খেলাটি সেভেনআপ, পেপসি ইত্যাদির বাজিতে খেলে। বিষয়টি খালি চোখে অনেক হালকা মনে হলেও মূলত এটি জুয়া। জুয়া ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
শরিয়তের দৃষ্টিতে খেলাধুলা জায়েজ হওয়ার জন্য শর্ত হলো, তাতে কোনো অনৈসলামিক কার্যকলাপ থাকতে পারবে না।
– ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়া : ৭/২৭৭।
৪র্থ বিষয়:
খেলার জন্য দিন রয়েছে।
কিন্তু দিনের আলো থাকতে রাতে অনেকে প্রচুর সময় নিয়ে খেলে, যা বিদ্যুতের অপচয়, সাথে সময়েরও অপচয়।
অপরদিকে, সে রাতে জাতীয় সম্পদ ব্যয় করে খেলছে।
হ্যাঁ, যদি কেউ দিনে সময় না পায় রাতে কিছু সময় মনে আনন্দের জন্য খেলতে পারে, এবং তার জন্য যদি সত্যিই প্রয়োজন হয়। তবে সে রাতে কিছু সময় খেলতে পারে।
কিন্তু বর্তমানে রাতে যদি কেউ খেলে তবে আশপাশের লোকজন ভিড় করে এবং যে খেলছে তার দ্বারা অন্যদের সময়ও নষ্ট হয়। তাই এরূপ ভাবে খেলা নাজায়িজ।
وهذا ما دعا إليه النبي الكريم بقوله صلى الله عليه وسلم:
(إِيَاكمُ وَالسَمَرُ بَعدَ هُدوءِ الَليِلِ فَإِنَّ أَحَدَكُمْ لا يَدرِي مَا يَبِثُ الله مِنْ خَلقِه، غَلِّقُوا الأَبْوَابَ وَأَوْكُوا الِسقَاءَ، وَأَكفِئوا الإِنَاءَ، وَأَطْفِئُوا المصابيح) [ البخاري، الأدب المفرد، حديث ( 1230)، 422.]
وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم:
لا ضرر ولا ضرار في الاسلام.
والقاعدة الفقهية الشرعية:
أنه لا ضرر ولا ضرار، وقد قالوا : أنت حرٌّ ما لم تضر.
সুতরাং,
জাতীয় সম্পদ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে,
তদ্রুপ চলাচল বিঘ্ন করে রাস্তায় খেলা বা অন্যের জমিনে বিনানুমতিতে খেলা নাজায়িয।
নিজে বিরত থাকি, অন্যকেও বিরত রাখি।
তবে হ্যাঁ,
যদি বৈধ বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করত: ব্যবহার করে ,
অনুমতি প্রাপ্ত জমিতে,
বা চলাচল স্বাভাবিক রেখে রাস্তায়,
বাজি বা জুয়া ভিত্তিক না হয়, অন্যদের কষ্ট বা ক্ষতি না হয়,
বরং শুধু শরীরচর্চার উদ্দেশ্যে,
এই খেলাতে ইসলামী কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
শরীরচর্চার উদ্দেশ্যে খেলাধুলা (যা মানুষকে আল্লাহর ইবাদত ভুলিয়ে দেয় না) ইসলামে বৈধ।
– আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু : ২৬৬২, ইমদাদুল আহকাম : ৪/৩৬৯।
قال تعالى: {إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الأَمَانَاتِ إِلَى أَهْلِهَا} [النساء:58]،
وقال: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلا أَنْ تَكُونَ تِجَارَةً عَنْ تَرَاضٍ مِنْكُمْ وَلا تَقْتُلُوا أَنْفُسَكُمْ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا} [النساء:29]،
وقوله تعالى: {لوْلَا يَنْهَاهُمُ الرَّبَّانِيُّونَ وَالْأَحْبَارُ عَنْ قَوْلِهِمُ الْإِثْمَ وَأَكْلِهِمُ السُّحْتَ لَبِئْسَ مَا كَانُوا يَصْنَعُونَ} [المائدة:63]،
قال أهل التفسير في قوله تعالى: {أَكَّالُونَ لِلسُّحْتِ} أي الحرام، وسمي المال الحرام سحتًا، لأنه يسحت الطاعات أي يذهبها ويستأصلها، (انظر تفسير القرطبي 6/183).
وأنه لا يصح الاستدلال على الجواز بقول النبي صلى الله عليه وسلم: “المسلمون شركاء في ثلاث: في الماء والكلأ والنار”،
لأن المقصود بالحديث هو ما لم يُملك، والماء والكهرباء يجري عليهما المِلك، كما هو متعارف عليه،
فلا يجوز الاحتجاج في هذا المقام بفعل بعض الناس الذين يسرقون،
وقد صح في الأثر من قول عبد الله بن مسعود رضي الله عنه: “لا تكونوا إمعة، تقولون إن أحسن الناس أحسنا، وإن ظلموا ظلمنا، ولكن وطنوا أنفسكم إن أحسن الناس أن تحسنوا، وإن أساءوا فلا تظلموا”.
وقد سئلت اللجنة الدائمة :
هل يجوز توقيف ساعة (عداد) الكهرباء أو الماء في دولة كافرة من أجل إضعاف تلك الدولة ؟ مع العلم بأن الدولة تأخذ مني ضرائب ظالمة رغماً عني .
فأجابت :
” لا يجوز ؛ لما فيه من أكل أموال الناس بالباطل ” انتهى .
“فتاوى اللجنة الدائمة” (23/441) .
وسئلت اللجنة الدائمة أيضاً : هل يجوز التحايل للامتناع عن دفع فاتورة الكهرباء أو الماء أو التليفون أو الغاز أو أمثالهما ؟ علما بأن معظم هذه الأمور تتولاها شركات مساهمة يمتلكها عامة الناس .
فأجابت :
” لا يجوز ؛ لما فيه من أكل أموال الناس بالباطل ، وعدم أداء الأمانة ، قال تعالى : ( إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الأَمَانَاتِ إِلَى أَهْلِهَا ) وقال : ( يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلا أَنْ تَكُونَ تِجَارَةً عَنْ تَرَاضٍ مِنْكُمْ وَلا تَقْتُلُوا أَنْفُسَكُمْ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا ) ” انتهى .
“فتاوى اللجنة الدائمة” (23/441) .
উত্তর প্রদান
মুফতী মাসুম বিল্লাহ।
Sharia Specialist, Islamic Economist, Banking & Finance Expert.
Khatib & Mufassir at Al Madina Jame Masjid at Eastern Housing, Pallabi Phase-2, Mirpur 11 ½.
Senior Muhaddis & Mufti at Jamia Islamia Darul Uloom Dhaka,Masjidul Akbar Complex, Mirpur-1,Dhaka-1216
Ustazul fiqh & Ifta at مركز البحوث الاسلامية داكا. Markajul Buhus Al Islamia Dhaka