মতভেদপূর্ণ ও সন্দেহপূর্ণ মাসয়ালা ও করণীয়

By | February 9, 2021

মতভেদপূর্ণ_ও_সন্দেহপূর্ণ_মাসয়ালা_ও_করণীয় :

নু’মান ইবন বাশীর রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হাদীস :

عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ يَقُولُ -وأَهْوَى النُّعْمَانُ بِإِصْبَعَيْهِ إِلَى أُذُنَيْهِ: إِنَّ الْحَلَالَ بَيِّنٌ، والْحَرَامَ بَيِّنٌ، وبَيْنَهُمَا مُشْتَبِهَاتٌ لَا يَعْلَمُهُنَّ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ، فَمَنِ اتَّقَى الشُّبُهَاتِ فَقَدِ اسْتَبْرَأَ لِدِينِهِ، وعِرْضِهِ، ومَنْ وقَعَ فِي الشُّبُهَاتِ وقَعَ فِي الْحَرَامِ، كَالرَّاعِي يَرْعَى حَوْلَ الْحِمَى، يُوشِكُ أَنْ يَقَعَ فِيهِ، أَلَا وإِنَّ لِكُلِّ مَلِكٍ حِمًى، أَلَا وإِنَّ حِمَى اللَّهِ مَحَارِمُهُ، أَلَا وإِنَّ فِي الْجَسَدِ مُضْغَةً إِذَا صَلَحَتْ صَلَحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ، وإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُلُّهُ، أَلَا وهِيَ الْقَلْبُ.(رواه البخاري ومسلم)

রসূলুল্লহ সল্লাল্লহু আলায়হি অসাল্লাম বলেন,

অবশ্যই হালাল স্পষ্ট এবং হারাম স্পষ্ট, আর এ দু’য়ের মাঝে রয়েছে বহু সন্দেহজনক বিষয়- যা অনেকেই জানে না। যে ব্যক্তি সেই সন্দেহজনক বিষয়সমূহ হতে বেঁচে থাকবে, সে তার দ্বীন ও মর্যাদা রক্ষা করতে পারবে। আর যে সন্দেহজনক বিষয়সমূহে লিপ্ত হয়ে পড়ে, তার উদাহরণ সে রাখালের ন্যায়, যে তার পশু বাদশাহ্ সংরক্ষিত চারণভূমির আশেপাশে চরায়, অচিরেই সেগুলোর সেখানে ঢুকে পড়ার আশংকা রয়েছে। জেনে রাখ যে, প্রত্যেক বাদশাহরই একটি সংরক্ষিত এলাকা রয়েছে। আরো জেনে রাখ যে, আল্লাহর যমীনে তাঁর সংরক্ষিত এলাকা হলো তাঁর নিষিদ্ধ কাজসমূহ। আরে জেনে রাখ যে, শরীরে একটি গোশত পিন্ড রয়েছে, যদি তা ঠিক হয় তাহলে পুরা শরীর ঠিক হয়, আর যদি তা নষ্ট হয় তাহলে পুরা শরীর নষ্ট হয়। আর জেনে রাখ, তা হল ক্বলব।

[সহীহ বুখারী, হাদীসঃ ৫২, সহীহ মুসলিম]

উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় এসেছে,

সন্দেহে পড়ার দিক দিয়ে মানুষ দু প্রকার;

যথা:-

1. সাধারণ মানুষ:

সাধারণ মানুষের ২ অবস্থা:

ক) কোন আলিম হতে না জানার বা জিজ্ঞাসা না করার কারণে মাসয়ালা সন্দেহপূর্ণ মনে হচ্ছে; সেক্ষেত্রে করণীয় হল, ঐ কাজ থেকে বিরত থাকা ওয়াজিব।

খ) আলিম বা মুফতীদের মাঝে মতভেদপূর্ণ, তাই সন্দেহপূর্ণ মনে হচ্ছে;সেক্ষেত্রে করণীয় হল, যদি কোন আলিম বা মুফতীকে ইলম-তাকওয়ার দিক দিয়ে প্রাধান্য দেয়া যায় তাহলে তার মত বা ফাতওয়ার উপর আমল করবে।আর যদি প্রাধান্য সম্ভব না হয় তাহলে ঐ কাজ হতে বিরত থাকা মুস্তাহাব।

2. মুজতাহিদ:

ক) তিনি ইজতিহাদ না করার কারণে সন্দেহপূর্ণ মনে হচ্ছে বা দলীলের সাংঘর্ষিকতার কারণে কোন দিককে প্রাধান্য দিতে পারছেন না;সেক্ষেত্রে করণীয় হল, বিরত থাকা ওয়াজিব।

খ) যদি কোন দলীলের ভিত্তিতে হালালের দিক প্রাধান্য দেয়া যায়;সেক্ষেত্রে করণীয় হল,বিরত থাকা মুস্তাহাব। والله تعالى اعلم—————————————

আল্লাহ তাআলা সহীহ বুঝে আমল করার তাওফীক দান করুন, আমীন।এবং অযথা সন্দেহ ও মতভেদ থেকে বিরত থাকার তাওফীক দান করুন, আমীন।

বিস্তারিত দেখুন, تكملة فتح الملهم – شيخ الاسلام المفتي محمد تقي العثماني

– সংকলনে;

মুফতী মাসুম বিল্লাহ ।

সিনিয়র মুহাদ্দিস ও মুফতি -জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম,ঢাকা।

খতিব-আল মদিনা জামে মসজিদ, ইস্টার্ন হাউজিং, মিরপুর, ঢাকা।

@muftimasumbillahofficialpage

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *