সাদা স্রাব বা ইসতিহাযাগ্রস্ত নারীদের নামাযের সময় কাপড় বা স্যানিটারী ন্যাপকিন (saintry napkin) পরিবর্তন করতে হবে কি?

By | January 14, 2022

প্রশ্ন:

সাদা স্রাব বা ইসতিহাযাগ্রস্ত নারীদের নামাযের সময় কাপড় বা স্যানিটারী নেপকিন পরিবর্তন করতে হবে কি?

নামায পড়া অবস্থায় রক্ত বা স্রাব বের হলে কি পরিবর্তন করতে হবে?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।

উত্তর: وبالله سبحانه التوفيق

যদি শরীর বা কাপড় বা স্যানিটারি ন্যাপকিনে (saintry napkin) রক্ত বা স্রাব বা অন্য কোন নাপাকী লাগে তাহলে ঐ শরীর বা কাপড় বা স্যানিটারী ন্যাপকিন (saintry napkin) নাপাক হবে। তখন শরীর বা কাপড় ধুয়ে পবিত্র করে বা ভিন্ন পবিত্র কাপড় বা পবিত্র স্যানিটারী ন্যাপকিন (saintry napkin) পরিবর্তন করে নামায পড়বে।

শরীর বা কাপড় বা স্যানিটারী ন্যাপকিন (saintry napkin) এ রক্ত বা স্রাব বা কোন নাপাকী থাকাবস্থায় নামায সহীহ হবে না।

তবে এক দিরহাম বা হাতের তালুর গর্ত বা সোয়া এক ইঞ্চি পরিমাণ জায়গায় রক্ত বা স্রাব বা কোন নাপাকী থাকলে নামায সহীহ হবে কিন্তু ধোয়ার ব্যবস্থা বা ভিন্ন পবিত্র কাপড় বা পবিত্র স্যানিটারী ন্যাপকিন (saintry napkin) এর ব্যবস্থা থাকাবস্থায় নামায মাকরূহ হবে।

যদি নামায পড়া অবস্থায় ইসতিহাযার রক্ত বা সাদাস্রাব বা কোন নাপাকী বের হয় তাহলে ওযু ভেঙ্গে যাবে ও তার নামাযও নষ্ট হয়ে যাবে এবং এতে কাপড় বা স্যানিটারী ন্যাপকিন (saintry napkin) বা দেহের যে জায়গায় লাগবে তা নাপাক হয়ে যাবে। রক্ত বা সাদাস্রাব বা নাপাকী থেকে পবিত্র না হয়ে এভাবে নামায পড়া বৈধ হবে না।

তবে যদি ইসতিহাযার রক্ত বা স্রাব এত বেশি বের হয় যে, রক্ত বা স্রাব ছাড়া নামায পড়া যায় না তখন স্যানিটারী ন্যাপকিন (saintry napkin) পরিবর্তন করা ওয়াজিব নয়।

আর যদি এই পরিমাণ সময় ইসতিহাযার রক্ত বা সাদাস্রাব বন্ধ থাকে যাতে সেই ওয়াক্তের নামায আদায় করতে পারে তাহলে সেই বন্ধ থাকার সময়েই ওযু করে পবিত্র কাপড় বা স্যানিটারী ন্যাপকিন (saintry napkin) পরিবর্তন করে নামায পড়বে।

আর যদি উক্ত পরিমাণ সময়ও ইসতিহাযার রক্ত বা সাদাস্রাব বন্ধ না থাকে তাহলে সে ঐ ওয়াক্তের ওযু দিয়েই নামায পড়তে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে কাপড় বা স্যানিটারী ন্যাপকিন (saintry napkin) পরিবর্তন করতে হবে।

তবে যদি ইসতিহাযার রক্ত বা স্রাব এত বেশি বের হয় যে, রক্ত বা স্রাব ছাড়া নামায পড়া যায় না তখন স্যানিটারী ন্যাপকিন (saintry napkin) পরিবর্তন করা ওয়াজিব নয়।

والله تعالى أعلم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

قَالَ عَطَاءٌ: «تَوَضَّأْ مِنْ كُلِّ حَدَثٍ مِنَ الْبَوْلِ، وَالْخَلَاءِ، وَالْفُسَاءِ، وَالضُّرَاطِ، وَمِنْ كُلِّ حَدَثٍ يَخْرُجُ مِنَ الْإِنْسَانِ

হযরত আত্বা রহি. বলেন, অযু কর প্রত্যেক হদসের কারণে। যেমন পেশাব, পায়খানা, বায়ু বের হওয়া শব্দসহ বা শব্দ ছাড়া এবং প্রত্যেকটি হদসের কারণে যা মানুষের শরীর থেকে বের হয়। [মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক -১/১৩৯, হাদীস নং-৫২৭]

ফাতাওয়ায়ে শামীতে এসেছে,

ومن وراء باطن الفرج فإنہ نجس قطعاً ککل خارج من الباطن کالماء الخارج مع الولد أو قُبَیْلہ الخ . رد المحتار

আর যোনির ভিতরের অংশ থেকে যা বের হয় তা একেবারেই নাপাক, যেমন ভিতর যা কিছু বের হয় তার মতো, যেমন শিশু জন্মের সাথে যে পানি বের হয় তার মতো।

و صاحب عذر من به سلس بول لا یمکنه امساکه او استطلاق بطن ريح أوانفلات أو المستحاضۃ ۔۔۔۔ ان استوعب عذره تمام وقت صلاة مفروضة بان لا یجد في جميع وقتهاز منا يتوضأو یصلی فیہ خاليا عن الحدث ۔۔۔۔ وحکمہ الوضوء ۔۔۔۔ لکل فرض ۔۔۔۔ ثم یصلی بہ فیہ فرضا أو نفلا ، فاذا خرج الوقت بطل ۔ الدرالمختار ( ا / ۳۰۵).

وتتوضأ المستحاضة ومن به عذر كسلس بول واستطلاق بطن لوقت كل فرض ويصلون به ما شاءوا من الفرائض والنوافل- ويبطل وضوء المعذورين بخروج الوقت فقط متى يثبت العذر – ولا يصير معذورا حتى يستوعبه العذر وقتا كاملا ليس فيه انقطاع بقدر الوضوء والصلاة وهذا شرط ثبوته. (حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح ، كتاب الطهارة، باب الحيض والنفاس والاستحاضة-148-151)

اگر جسم یا کپڑے (سینٹری نیپکین وغیرہ) سے خون یا کوئی دوسری ناپاکی لگ گئی تو ناپاکی کا حکم ہوگا۔ جسم اور کپڑے کو دھوکر پاک کرلیں یا دوسرا کپڑا بدل لیں جسم یا کپڑے میں خون استحاضہ لگ جائے تو اس کے لگے ہونے کے حالت میں نماز درست نہ ہوگی، اگر خون اس کثرت سے آتا ہوکہ نماز بغیر خون کے نہ پڑھی جاسکے تو پھر سینٹری نیپکین کا بدلنا واجب نہیں۔ واللہ تعالیٰ اعلم

ماخذ: دار الافتاء دار العلوم دیوبند. فتوی نمبر: 66066. تاریخ اجراء: Oct 20, 2016. Fatwa ID: 905-1501/H=01/1438

উত্তর প্রদান

মুফতী মাসুম বিল্লাহ

Facebook Comments Box