স্বামী যদি স্ত্রীর দুধ খেয়ে ফেলে তবে বিবাহের কোনো ক্ষতি হবে?

By | March 1, 2021

From: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।

Message Body:
১. স্ত্রী মিলনের সময় উত্তেজনার বশে যদি স্ত্রীর দুধ স্বামী খেয়ে ফেলে তবে বিবাহের কোনো ক্ষতি হবে?

২. স্বামীর উপর কোনো কাফফারা ওয়াজিব হবে?

৩. স্ত্রীর দুধ কি স্বামীর জন্য হারাম?

উত্তর: وبالله سبحانه التوفيق

না, বিবাহের কোন ক্ষতি হবে না, স্ত্রী স্বামীর উপর হারাম হবে না। কোন কাফফারাও ওয়াজিব হবে না। তবে অবশ্যই তওবা-ইসতিগফার করতে হবে। আর কিছু সাদাকা করলে ভাল হবে।

তদুপরি স্ত্রীর স্তন চোষার ফলে যদি দুধ বেরিয়ে মুখে চলে আসে তাহলে সে দুধ গলায় বা “খাদ্যনালী”তে যাওয়ার পূর্বেই ফেলে দিতে হবে, যেহেতু স্ত্রীর দুধ পান করা স্বামীর জন্য হারাম।

তাই একাজ থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য।

কারণ, দুধ পানের বয়স সীমাতে দুধ পান করলে দুধ মায়ের সম্পর্ক স্থাপন হয়। এর পর দুধ পান করলে দুধ মায়ের সম্পর্ক হয় না, ঐ মহিলাও হারাম বা তালাক হয়না।

তাই স্বীয় স্ত্রীর দুধ পান করার দ্বারা স্ত্রী স্বামীর জন্য হারাম হয় না, তালাকও হয় না।

কিন্তু দুধ পানের বয়স সীমার পর কোন মহিলার এমনকি নিজ স্ত্রীর স্তনের দুধ পান করা হারাম ও মারাত্মক গোনাহের কাজ।

তবে দুধ পানের বয়স সীমার ভেতরে যেসব নারীর দুধ পান করা হয়, জন্মধাত্রী মা না হলেও বিবাহ হারাম হওয়ার ব্যাপারে জননীর পর্যায়ভূক্ত এবং তাদের সাথে বিয়ে হারাম।

অল্প দুধ পান করুক বা বেশী, একবার পান করুক বা একাধিকবার, সর্ববস্থায় তারা হারাম হয়ে যায়। ফিকাহবিদগণের পরিভাষায় একে “হুরমতে রেযাআত”বলা হয়।

তবে এতটুকু স্মরণ রাখা জরুরী যে, দুধ পানের বয়স সীমাতেই কেবল দুধ পান করলে এই “হুরমতে রেযাআত” কার্যকারী হবে।

দেখুন;
এসম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন-
وَأُمَّهَاتُكُمُ اللَّاتِي أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ مِنَ الرَّضَاعَةِ – النساء : ٢٣
অর্থ : তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে সে সব মাতাগণকে; যারা তোমারেদকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ বোন……… (সূরা নিসা-২৩)

সহীহ বুখারীর বর্ণনায় এসেছে-
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بِنْتِ حَمْزَةَ: «لاَ تَحِلُّ لِي، يَحْرُمُ مِنَ الرَّضَاعِ مَا يَحْرُمُ مِنَ النَّسَبِ، هِيَ بِنْتُ أَخِي مِنَ الرَّضَاعَةِ  .  صحيح البخاري (٣  /١٧٠)٢٦٤٥
হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) হযরত হামজা (রা.) এর কন্যাকে বিবাহের বিষয়ে রাসূল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, তাকে বিবাহ করা তোমার জন্য বৈধ না। কেননা দুধ পান করার দ্বারা যেমন বিবাহ হারাম হয়, তেমনি বংশের কারণেও হারাম হয়, আর হামজা (রা.) এর কন্যা তোমার দুধ বোন। বুখারী-৩/১৭০, হাদীস-২৬৪৫।

দুধ পানের বয়স সীমাতে দুধ পান করা বা করানোর দ্বারা শুধু মাত্র বিবাহ বন্ধন হারাম হয়, এর সময় সীমা বর্ণনা দিতে গিয়ে, 

মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন-
       وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلَادَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ لِمَنْ أَرَادَ أَنْ يُتِمَّ الرَّضَاعَةَ  -البقرة : ٢٣٣
অর্থ: আর সন্তানবর্তী নারীরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ণ দু’বছর দুধ খাওয়াবে, যদি দুধ খাওয়াবার পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করতে চায়। সূরা বাকারা-২৩৩।

হাদীসে উল্লেখ রয়েছে, 

রাসুলুল্লাহ বলেন: فَإِنَّمَا الرَّضَاعَةُ مِنْ الْمَجَاعَةِ

অর্থাত্‍, দুধ পানের কারণে যে অবৈধতা প্রমাণিত হয়, তা সে সময়ে দুধ পান করলে হবে, যে সময় দুধ পান করে শিশু শারিরীক দিক দিয়ে বর্ধিত হয়। (বোখারী ও মুসলিম)

عَنِ ابْنٍ لِعَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ رَجُلًا كَانَ مَعَهُ امْرَأَتُهُ وَهُوَ فِي سَفَرٍ فَوَلَدَتْ فَجَعَلَ الصَّبِيُّ لَا يَمُصُّ فَأَخَذَ زَوْجُهَا يَمُصُّ لَبَنَهَا وَيَمُجُّهُ حَتَّى وَجَدَ طَعْمَ لَبَنِهَا فِي حَلْقِهِ فَأَتَى أَبَا مُوسَى فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ ” حُرِّمَتْ عَلَيْكَ امْرَأَتُكَ ” , فَأَتَى ابْنَ مَسْعُودٍ فَقَالَ: أَنْتَ الَّذِي تُفْتِي هَذَا بِكَذَا وَكَذَا وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” لَا رَضَاعَ إِلَّا مَا شَدَّ الْعَظْمَ وَأَنْبَتَ اللَّحْمَ “. السنن الكبرى للبيهقي (٧٥٨/ ٧ )١٥٦٥٣ 

অর্থাৎ : আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) এর ছেলে থেকে বর্ণিত, একদা এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে নিয়ে সফরে বের হলেন আর ঐ সফরের মাঝে তাদের একটি সন্তান জন্ম নেয়। ঐ সন্তান দূর্বল হওয়ার কারণে তার মায়ের দুধ পান করার মত শক্তি ছিল না। অতপর স্বামী তার স্ত্রীর দুধ চোষন করে সন্তানের মুখে দিতেন। এভাবে চোষন করতে গিয়ে স্বামী তার স্ত্রীর দুধ পান করার স্বাদ অনুভব করেন। সফর থেকে ফিরে আসার পর এ ঘটনা হযরত আবূ মুসা (রা.) কে বর্ণনা করলেন, হযরত আবূ মুসা (রা.) বললেন, তোমার স্ত্রী তোমার উপর হারাম হয়ে গিয়েছে! অথাৎ বিবাহ সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। ঐ লোকটি পুনরায় হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) এর কাছে এসে আবূ মূসা (রা.) এর উক্ত ফাতওয়াটি বর্ণনা দিলে তিনি বলেন, কি করে তার স্ত্রী তার জন্য হারাম হবে? অথচ রাসূল (সা.) বলেছেন প্রাপ্ত বয়স্ত হওয়ার পর দুধ পান করার দ্বারা কোন সমস্যা হয় না। 

(মুলকথা- হযরত আবূ মূসা (রা.) এর মতটির উপর ফাতওয়া নয়, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) এর ফাতওয়াটিই ছিল সঠিক অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীর দুধ পান করার দ্বারা তাদের সম্পর্কের মাঝে কোন সমস্যা হবে না, কেননা ‍শিশু বয়সে দুধ পান করার দ্বারা বিবাহ নিষিদ্ধ হয়, প্রাপ্ত বয়সে নয়)। 

অন্য একটি বর্ণনায় আছে, এর পর থেকে কখনো হযরত আবূ মুসা (রা.) কোন মাসয়ালা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলতেন, তোমাদের মাঝে রয়েছে হিবারগণ তথা আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) এর ন্যায় সাহাবীগণ, তোমরা তাদের থেকে জিজ্ঞাসা কর। 

এই হাদীসটির কয়েকটি সনদে বর্ণিত হয়েছে, হাদীসটি হাসান তথা প্রমাণযোগ্য, আর তাছাড়াও এর সমর্থনে  কোরআন ও অন্য অন্য হাদীসেও রয়েছে। পক্ষান্তরে এর বিরোধি কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না।

সূত্র: সুনানুল কোবরা লিল বায়হাকী-৭/৭৫৮ হাদীস-১৫৬৫৩, সুনানে দারা কুতনী-০৫/৩০৫ হাদীস-৪৩৬১, আবূ দাউদ-২/২২২ হাদীস-২০৫৯, মুসনাদে আহমদ-৪/১৪৭, হাদীস-৪১১৪, আল বাদরুল মনীর-০৬/২৭০, ইরওয়াউল গালীল লিল আলবানী-৭/২২৩,হাদীস-২১৫৩ ইত্যাদি।

এখন দেখুন এবিষয়ে অন্য একটি হাদীস-

                        عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: عَمَدَتِ امْرَأَةٌ مِنَ الْأَنْصَارِ إِلَى جَارِيَةٍ لِزَوْجِهَا فَأَرْضَعَتْهَا، فَلَمَّا جَاءَ زَوْجُهَا قَالَتْ: إِنَّ جَارِيَتَكَ هَذِهِ قَدْ صَارَتِ ابْنَتَكَ فَانْطَلَقَ الرَّجُلُ إِلَى عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: ” عَزَمْتُ عَلَيْكَ لَمَا رَجَعْتَ فَأَصَبْتَ جَارِيَتَكَ وَأَوْجَعْتَ ظَهْرَ امْرَأَتِكَ ” وَفِي رِوَايَةِ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَإِنَّمَا الرَّضَاعَةُ رَضَاعَةُ الصَّغِيرِ
السنن الكبرى للبيهقي (٧/٧٦٠ )  ١٥٦٦٠ 

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন একদা এক আনসারী ব্যক্তি তার বাদীকে বিবাহ করার ইচ্ছে পোষন করলেন,তখন ঐ আনসারির স্ত্রী ঐ বাদীটিকে তার দুধ পান করিয়ে দেন (যাতে করে তার স্বামী বিবাহ করতে না পারে) যখন আনসারী ঘরে ফিরে আসলো তখন তার স্ত্রী বললো এই বাদি তোমার মেয়ে হয়ে গিয়েছে, কেননা আমি তাকে আমার দুধ পান করিয়ে দিয়েছি।

অতপর ঐ আনসারী হযরত উমর (রা.) এর কাছে গিয়ে উক্ত ঘটনার বর্ণনা দেন, তখন হযরত ওমর (রা.) দৃঢ়তার সাথে বলেন, তুমি ফিরে যাও তোমার বাদী পুর্বের ন্যায় তোমার বাদী হিসেবেই আছে (তোমার মেয়ে হয়নি অর্থাৎ তুমি তাকে বিবাহ করতে পারবে) আর তোমার স্ত্রীর কথা প্রত্যাখিত। অন্য বর্ণনায় আছে শিশু বয়সে দুধ পান করানো দ্বারা শুধু বিবাহ বন্ধন নিষিদ্ধ হয়। আস সুনানুল কোবরা লিল বায়হাকী-৭/৭৬০, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক-৭/৪৬১, হাদীস-১৩৮৯০ ।

উক্ত হাদীস দ্বারাও আমরা সুস্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারলাম যে, দুধ পানের বয়স ছাড়া প্রাপ্ত বয়সে দুধ পান করার দ্বারা কখনও বিবাহ বন্ধনে সমস্যা হয় না, যা সাহাবায়ে কেরাম (রা.) এর ফয়সালা দ্বারা সুস্পষ্ট।

وما ثبت في “سنن الترمذي” (1152) عن أُمِّ سَلَمَةَ رضي الله عنها أنها قَالَتْ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( لَا يُحَرِّمُ مِنْ الرِّضَاعَةِ إِلَّا مَا فَتَقَ الْأَمْعَاءَ فِي الثَّدْيِ ، وَكَانَ قَبْلَ الْفِطَامِ ) ، قَالَ أَبُو عِيسَى الترمذي : هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ، وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَغَيْرِهِمْ ، أَنَّ الرَّضَاعَةَ لَا تُحَرِّمُ إِلَّا مَا كَانَ دُونَ الْحَوْلَيْنِ ، وَمَا كَانَ بَعْدَ الْحَوْلَيْنِ الْكَامِلَيْنِ فَإِنَّهُ لَا يُحَرِّمُ شَيْئًا . والحديث صححه الألباني في صحيح الترمذي .
وروى البخاري (2453) ومسلم (1455) عن عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ : دَخَلَ عَلَيَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعِنْدِي رَجُلٌ قَالَ : يَا عَائِشَةُ ، مَنْ هَذَا ؟ قُلْتُ : أَخِي مِنْ الرَّضَاعَةِ . قَالَ : ( يَا عَائِشَةُ ، انْظُرْنَ مَنْ إِخْوَانُكُنَّ ، فَإِنَّمَا الرَّضَاعَةُ مِنْ الْمَجَاعَةِ ) .
قال الحافظ ابن حجر في “فتح الباري” (9/148) : ” والمعنى تأملن ما وقع من ذلك ، هل هو رضاع صحيح بشرطه من وقوعه في زمن الرضاعة ، ومقدار الارتضاع ؟ فإن الحكم الذي ينشأ من الرضاع إنما يكون إذا وقع الرضاع المشترط ، قال المهلب : معناه ، انظرن ما سبب هذه الأخوة ، فإن حرمة الرضاع إنما هي في الصغر حتى تسد الرضاعة المجاعة . وقال أبو عبيد : معناه ، أن الذي جاع كان طعامه الذي يشبعه اللبن من الرضاع ، لا حيث يكون الغذاء بغير الرضاع ” انتهي .
قال ابن قدامة – رحمه الله – في “المغني” (8/142) : ” من شرط تحريم الرضاع أن يكون في الحولين ” انتهى .


وقد جاءت آثار عن الصحابة رضي الله عنهم تدل على أن رضاع الكبير لا يؤثر

: فمن ذلك

ما جاء عن أبي عطية الوادعي قال : جاء رجل إلى ابن مسعود فقال : إنها كانت معي امرأتي فحُصر لبنها في ثديها فجعلت أمصه ثم أمجُّه فأتيت أبا موسى فسألته ، فقال : حرمت عليك . قال : فقام وقمنا معه حتى انتهى إلى أبي موسى فقال : ما أفتيت هذا ؟ فأخبره بالذي أفتاه فقال ابن مسعود ، وأخذ بيد الرجل : أرضيعاً ترى هذا ؟ إنما الرضاع ما أنبت اللحم والدم ، فقال أبو موسى : لا تسألوني عن شيء ما كان هذا الحَبْر بين أظهركم .
رواه عبد الرزاق في المصنف (7/463 رقم13895) .
ورواه أبو داود (2059) عن ابن مسعود بلفظ : ( لا رضاع إلا ما شد العظم وأنبت اللحم . فقال أبو موسى : لا تسألونا وهذا الحَبْر فيكم ) . وصححه الألباني في “صحيح أبي داود” .
2- وروى مالك في الموطأ (2/603) عن نافع أن ابن عمر رضي الله عنه قال : ( لا رضاعة إلا لمن أُرضع في الصغر ، ولا رضاعة لكبير ) .
3- وروى مالك أيضا في الموطأ عن عبد الله بن دينار أنه قال : جاء رجل إلى عبد الله بن عمر وأنا معه عند دار القضاء يسأله عن رضاعة الكبير ، فقال عبد الله بن عمر : جاء رجل إلى عمر بن الخطاب فقال : إني لي وليدة [جارية] وكنت أطؤها فعمدت امرأتي إليها فأرضعتها ، فدخلت عليها فقالت : دونك ، فقد والله أرضعتها . فقال عمر : ” أوْجِعْها وأْتِ جاريتك ، فإنما الرضاعة رضاعة الصغير ” . وإسناده صحيح

উল্লেখ্য যে, 

সহীহ মুসলিমের একটি বর্ণনা অনুসারে প্রাপ্ত বয়সের মাঝেও দুধ পান করার দ্বারা বিবাহ নিষিদ্ধ হওয়া বুঝা যায় ।

তার জবাব স্বরুপ : আল্লামা নাওয়াভী (রহ.)সহ একাধিক মুহাদ্দীসগণ বলেন, রাসূল (সা.) অধিক প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য করে শুধু হযরত সাহল এবং সালেম (রা.) এর ক্ষেত্রে এই ধরনের বিধানের কথা বলেছেন, যা অন্য কোথাও প্রয়োগ করা যাবে না। এ বিষয়ে সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন, তাবয়ে তাবেয়ীনদের মাঝেও ঐক্য রয়েছে।

নিন্মে হাদীস ও ব্যাখ্যাগুলো পেশ করা হলো:


وأما من قال بأن رضاع الكبير يحرم ، فقد استدل بما روى مسلم (1453) عَنْ عَائِشَةَ رضي الله عنها أَنَّ سَالِمًا مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ كَانَ مَعَ أَبِي حُذَيْفَةَ وَأَهْلِهِ فِي بَيْتِهِمْ فَأَتَتْ تَعْنِي ابْنَةَ سُهَيْلٍ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ : إِنَّ سَالِمًا قَدْ بَلَغَ مَا يَبْلُغُ الرِّجَالُ ، وَعَقَلَ مَا عَقَلُوا ، وَإِنَّهُ يَدْخُلُ عَلَيْنَا ، وَإِنِّي أَظُنُّ أَنَّ فِي نَفْسِ أَبِي حُذَيْفَةَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا . فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : أَرْضِعِيهِ تَحْرُمِي عَلَيْهِ ، وَيَذْهَبْ الَّذِي فِي نَفْسِ أَبِي حُذَيْفَةَ ، فَرَجَعَتْ فَقَالَتْ إِنِّي قَدْ أَرْضَعْتُهُ فَذَهَبَ الَّذِي فِي نَفْسِ أَبِي حُذَيْفَةَ .
وفي رواية لمسلم أيضا : (فقالت : إنه ذو لحية . فقال : أرضعيه يذهب ما في وجه أبي حذيفة) .
وكان أبو حذيفة قد تبنى سالماً ، قبل أن ينزل تحريم التبني .
وقد أخذت عائشة رضي الله عنها – وحفصة أيضاً – بهذا الحديث ، ولم تره خاصا بسالم ، وأبى سائر أزواج النبي صلى الله عليه وسلم ذلك ، وقد كانت أُمُّ سَلَمَةَ رضي الله عنها تَقُولُ : أَبَى سَائِرُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُدْخِلْنَ عَلَيْهِنَّ أَحَدًا بِتِلْكَ الرَّضَاعَةِ ، وَقُلْنَ لِعَائِشَةَ : وَاللَّهِ مَا نَرَى هَذَا إِلَّا رُخْصَةً أَرْخَصَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِسَالِمٍ خَاصَّةً ، فَمَا هُوَ بِدَاخِلٍ عَلَيْنَا أَحَدٌ بِهَذِهِ الرَّضَاعَةِ ، وَلَا رَائِينَا . رواه مسلم (1454) .
وقد أجاب الجمهور عن حديث سالم بأن ذلك كان خاصاً به ، كما هو قول أزواج النبي صلى الله عليه وسلم ، أو أنه منسوخ .
. كما أن الحديث لم يبين كيف ارتضع سالم ،

: قال النووي رحمه الله في شرح مسلم

اختلف العلماء في هذه المسألة فقالت عائشة وداود تثبت حرمة الرضاع برضاع البالغ كما تثبت برضاع الطفل لهذا الحديث وقال سائر العلماء من الصحابة والتابعين وعلماء الأمصار إلى الأن لا يثبت إلا بإرضاع من له دون سنتين إلا أبا حنيفة فقال سنتين ونصف واحتج الجمهور بقوله تعالى والوالدات يرضعن أولادهن حولين كاملين لمن أراد أن يتم الرضاع وبالحديث الذي ذكره مسلم بعد هذا إنما الرضاعة من المجاعة وحملوا حديث سهلة على أنه مختص بها وبسالم وقد روى مسلم عن أم سلمة وسائر أزواج رسول الله صلى الله عليه وسلم أنهن خالفن عائشة في هذا (أرضعيه) قال القاضي لعلها حلبته ثم شربه من غير أن يمس ثديها ولا التقت بشرتاهما وهذا الذي قاله القاضي حسن ويحتمل أنه عفي عن مسه للحاجة كما خص بالرضاعة مع الكبر . ” قوله صلى الله عليه وسلم ( أرضعيه ) قال القاضي : لعلها حلبته ثم شربه من غير أن يمس ثديها ، ولا التقت بشرتاهما . وهذا الذي قاله القاضي حسن ، ويحتمل أنه عفي عن مسه للحاجة كما خُص بالرضاعة مع الكبر . والله أعلم ” انتهى . شرح النووي على مسلم (10/ 31)

অতএব স্বামী স্ত্রীর দুধ পান করার দ্বারাও বিবাহ বন্ধনে কোন সমস্যা হবে না। তবে স্বামী স্ত্রীর দুধ পান করা নিষেধ।

কেননা মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন-
       وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَنِي آدَمَ  – الإسراء :٧٠
অর্থাৎ, আমি বনি আদমকে বানিয়েছি সন্মানি। সূরা ইসরা-৭০

ব্যাখ্যা: বনি আদমকে সন্মানি বানানো দ্বারা তার প্রত্যেক অঙ্গকেই বুঝানো হয়েছে, আর কোন সন্মানি বস্তুকে তার ক্ষেত্রে ছাড়া ব্যবহার করা সন্মানের পরিপন্থী।

অতএব, মহান আল্লাহ মায়ের মাঝে তার কুদরত দ্বারা দুধ সৃষ্টি করেছেন এবং এর ক্ষেত্র নির্ধারণ করেছেন এক মাত্র সন্তানদেরকে আর এটিই হলো তার ব্যবহারের প্রকৃত স্থান। তাই স্বামী স্ত্রীর দুধ ইচ্ছাকৃত ভাবে পান করা সন্মানি বস্তুকে তার বিপরীত স্থানে প্রয়োগ করা যা নিষেধ।

সুতরাং মানুষের জন্য মানুষের দুধ খাওয়া হারাম।শুধুমাত্র বিশেষ প্রয়োজনে শিশুর জন্য মায়ের দুধকে হালাল রাখা হয়েছে।সুতরাং স্বামীর জন্য স্ত্রীর দুধ পান করা হারাম।এ ব্যাপারে প্রায় সকল উলামায়ে কেরাম একমত।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।(জাওয়াহিরুল ফিকহ-৭/৪৬)

• ফাতওয়ায়ে আলমগীরির ১ নং খন্ড ৩৪৪ নং পৃষ্ঠায় ও বেহেশতি জেওর এর ৪র্থ নম্বর খন্ড ১৮ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে —

” স্বামী যদি স্ত্রীর দুধ পান করে তাহলে স্ত্রী তার মা হবেনা, তার জন্য হারাম হবেনা ঠিকই কিন্তু এরূপ করা ভীষণ পাপের কাজ। কেননা, দু’বছর বয়সের পর মানুষের দুধ পান করা পুরোপুরি হারাম।”

وفى رد المحتار-( ولم يبح الإرضاع بعد مدته ) لأنه جزء آدمي والانتفاع به لغير ضرورة حرام على الصحيح (الدر المختار مع رد المحتار-كتاب النكاح، باب الرضاع-4/397

واعلم أن الذي عليه الفتوى عند كثير من أهل العلم المعاصرين ، أن رضاع الكبير لا يثبت به التحريم ، وبهذا أفتى الشيخ ابن باز رحمه الله ، واللجنة الدائمة للإفتاء ، ورأوا أن حديث سالم خاص به .
انظر : “مجموع فتاوى الشيخ ابن باز” (22/264) ، “فتاوى اللجنة” (21/41، 102) .
واختار الشيخ ابن عثيمين أن حديث سالم ليس خاصاً به ، ولكنه ينطبق على مَنْ حاله تشبه حال سالم ، وهذا لا يمكن الآن ، لأن التبني قد حرمه الله تعالى ، وبهذا يتفق هذا القول مع قول جماهير العلماء بأن رضاع الكبير لا يثبت به التحريم الآن .
قال رحمه الله في “الشرح الممتع” (13/435، 436) :
” وعندي : أن رضاع الكبير لا يؤثر مطلقاً ، إلا إذا وجدنا حالاً تشبه حال أبي حذيفة من كل وجه .. وهذا غير ممكن ، لأن التبني أُبطل ” انتهى .
والحاصل : أن الراجح أن إرضاع الكبير لا يؤثر ؛ لأن الرضاع المحرم لابد أن يكون في الحولين أو قبل الفطام

জ্ঞাতব্য,

ইমাম আবু হানীফার মতে, এই সময়কাল হচ্ছে শিশুর জন্মের পর থেকে আড়াই বছর বয়স পর্যন্ত।

ইমাম আবু হানীফার বিশিষ্ট শাগরীদ ইমাম আবু ইউসূফ ও ইমাম মুহাম্মদসহ অন্যান্য ফিকাহবিদগণের মতে,মাত্র দুই বছরের ভিতরে দুধ পান করলে অবৈধতা প্রমাণিত হবে।

কোন বালক বালিকা যদি এবয়সের পর কোন স্ত্রীলোকের পান করে,তবে এতে দুধ পানজনিত অবৈধতা প্রমাণিত হবে না।

সুতরাং স্বামী স্ত্রীর দুধ পান করলে বিবাহ ভঙ্গ হবেনা।

কারণ, যেহেতু স্বামীর বয়স ২ বা আড়াই বছরের উর্ধ্বে। والله تعالى اعلم

আরো প্রামান্য গ্রন্থাবলী:

ফাতওয়ায়ে শামী-৪/৩৯৭, তাফসীরে মাযহারী-১/৩৫৬, কেফায়াতুল মুফতী-৫/১৬২, প্রভৃতি।

উত্তর প্রদানেঃ

মুফতী মাসূম বিল্লাহ

Facebook Comments Box

One thought on “স্বামী যদি স্ত্রীর দুধ খেয়ে ফেলে তবে বিবাহের কোনো ক্ষতি হবে?

  1. MUNSHI

    আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই সমস্ত বিশেষ তথ্য হিন গোনাহ থেকে হেফাজত করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *