
প্রশ্ন:
বর্তমানে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে বহু রকম কথা শুনা যাচ্ছে, কেউ বলে হারাম, কেউ বলে জায়িয, কেউ বলে শুকরের উপাদান আছে, কেউ বলে নাই, কেউ বলে সন্দেহ আছে, আসলে কোনটি সঠিক? শরীয়াতের দৃষ্টিতে করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ কি বৈধ হবে?
উত্তর : وبالله سبحانه التوفيق
একমাত্র মহান আল্লাহ তাআলাই রোগীকে আরোগ্য দান করেন, তাকে সুস্থতা দেন। আল্লাহর নির্দেশ ছাড়া সব ডাক্তার মিলেও আরোগ্য সাধন করতে সক্ষম হবে না। কেননা, একমাত্র তিনিই আরোগ্যদাতা, তিনি রোগে আক্রান্ত করেন, ওষুধ দিয়ে সাহায্য করেন এবং আরোগ্য দিয়ে দয়া করেন।
আরোগ্য অন্যতম মৌলিক নেয়ামত, রোগী যেহেতু সেটা আল্লাহর পক্ষ হতেই লাভ করে, ডাক্তারের কাছে নয়,
তাই হযরত ইবরাহিম (আ.) বলেন, ‘আর আমি যখন অসুস্থ হই তিনি আমাকে আরোগ্য দান করেন।’ (সুরা শুআরা : ৮০)।
এমনিভাবে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রোগও আল্লাহ তাআলাই সৃষ্টি করেছেন, এবং তার ওষুধও আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন। অতএব চিকিৎসা করো। (তাবারানী, আলমুজামুল কাবীর: ২৪/২৫৪)
সুহাইব (রা.) থেকে বর্ণিত, সেই বালকের গল্প নিয়ে, যে অন্ধ ও কুষ্ঠরোগীকে সুস্থ করে তুলত এবং আল্লাহর হুকুমে যাবতীয় রোগের চিকিৎসা করত। বাদশাহর একজন সহচর এ কথা শুনতে পেল, সে অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সে বালকটির কাছে অনেক উপহারসামগ্রী নিয়ে এসে বলল, তুমি আমাকে আরোগ্য দিতে পারলে এখানে যা আছে সব তোমার জন্য। তখন বালক বলল, ‘আমি কাউকে আরোগ্য দান করতে পারি না। শুধু আল্লাহই আরোগ্য দেন। আপনি যদি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনেন, তবে আমি আল্লাহর কাছে আরোগ্যের প্রার্থনা করব, তিনি আপনাকে আরোগ্য দান করবেন।’ লোকটা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনল। আল্লাহ তাকে আরোগ্য দিলেন, তার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিলেন। (সহীহ মুসলিম)।
চিকিৎসা গ্রহণ করা মুস্তাহাব। চিকিৎসা না করলে তা যদি ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায় তখন চিকিৎসা করা জরুরী হয়ে যায়।
উসামা ইবনে শারিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা চিকিৎসা গ্রহণ কর, কেননা আল্লাহ যত রোগ দিয়েছেন তার সবগুলোর জন্য আরোগ্যের ব্যবস্থা করেছেন, তবে মৃত্যু ও বার্ধক্য ছাড়া।’ (আহমাদ ও ইবনে হিব্বান)।
সুতরাং চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের প্রদত্ত দিকনির্দেশনাসমূহ মেনে চলাও হাদীসেরই নির্দেশ ।
রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, “কেউ যদি সকালবেলা ৭ টি আজওয়া খেজুর খায় তাহলে তাকে কোনো রোগ স্পর্শ করবে না।”
সুতরাং রোগ হওয়ার আগে থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা’-এটিও হাদিস থেকেই প্রমাণিত।
এ জাতীয় সতর্কতা অবলম্বন তাওয়াক্কুল পরিপন্থী কিছু নয়, বরং নবীজির (সা.) সুন্নাত ও সাহাবায়ে কেরামের আদর্শ ।
কারণ চিকিৎসাগ্রহণকারী তা ব্যবহারই করবে ওসিলা হিসেবে।
উল্লেখ্য, মুসলমানদের আকীদা হচ্ছে রোগ, বালাই, মহামারী সবই আল্লাহর হুকুমে আসে, এবং তাঁর হুকুমেই নিরাময় হয় । যখন চূড়ান্ত ফয়সালা চলে আসে আর নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যায়, তখন সব মেডিসিন ব্যর্থ হয় এবং সব ব্যবস্থা নস্যাৎ হয়ে যায়।
চিকিৎসার এক পদ্ধতি হলো : অসুস্থ হলে ওষুধ সেবন করা।
চিকিৎসার অন্য পদ্ধতি হলো, এখনও অসুস্থ হয়নি, তবে দেহের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির কারণে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, উভয় ক্ষেত্রেই রোগ নিরাময়ে বা রোগের সম্ভাব্য বিপদ এড়াতে ওষুধের ব্যবহার জায়েয। তবে রোগের প্রকৃতি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অভাব বা স্থিতিশীলতা এবং রোগ বৃদ্ধিকারী পরিবেশের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে বিধানে কিছুটা তারতম্য হতে পারে। প্রত্যেকে নির্ভরযোগ্য মুফতীর সামনে নিজের অবস্থা তুলে ধরে তাদের মতামত নিতে পারেন।
কারোনার ভ্যাকসিন মূলত চিকিৎসার দ্বিতীয় প্রকারের অন্তর্ভূক্ত। অর্থাৎ ব্যক্তি এখনও করোনার রোগে আক্রান্ত হয়নি; কিন্তু মহামারী পরিস্থিতি বিবেচনায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ভ্যাকসিনকে গ্রহণ করে।
‘ভ্যাকসিন’ বা ‘টিকা’ কোনো ঔষধ নয়, বরং তা প্রতিষেধক। ঔষধ প্রয়োগ করা হয় রোগ মুক্তির জন্য, পক্ষান্তরে টিকা দেয়া হয় রোগাক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচার জন্য। অর্থাৎ টিকা গ্রহণের উদ্দেশ্য সতর্কতা অবলম্বন; রোগমুক্তি নয়। তাই এটিকে সে অর্থে প্রকৃত চিকিৎসাও বলা যায় না।
সাধারণত একটি সমাজে টিকা গ্রহণ না করা লোকের সংখ্যা থাকে অসংখ্য। কিন্তু তাদের সিংহভাগই সে রোগে আক্রান্ত হয় না। তাই এটি সতর্কতামূলকই বটে।
তাই শুধু জান বাঁচানো ফরয এধরনের অজুহাত তুলে এককথায় বাছ-বিচার ছাড়াই ভ্যাকসিন বা টিকা নিরংকুশভাবে হালাল বা বৈধ বলা যায় না।
তবে একথাও জেনে রাখা দরকার, রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও হালাল-হারাম বাছাইয়ের বিষয় রয়েছে এবং কঠিন পরিস্থিতিতে হারাম বস্তু দ্বারা চিকিৎসা গ্রহণের যে মত রয়েছে সেটিও বেশ কিছু শর্তসাপেক্ষ।
এসব ক্ষেত্রে উপদান, প্রতিক্রিয়া, পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখেই তবে শরয়ী বিধান নিরূপিত হবে।
যদি ওষুধ বা ভ্যাকসিন হারাম উপাদান দ্বারা তৈরি হয় স্বাভাবিক অবস্থায় তা গ্রহণ বৈধ নয়। তবে নিরূপায় ও অপারগ হলে বৈধ হবে।
যদি কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিনে হালাল উপাদান দ্বারা তৈরি হয় তাহলে সেটা স্পষ্টতই জায়েয। (যদি সেই ওষুধে মানুষের দেহ ও মানসে কোনো বিরূপ বা ক্ষতিকর প্রভাব না পড়ে।)
তবে ব্যতিক্রম বলো,
যদি ওষুধ বা ভ্যাকসিন হারাম উপাদান দ্বারা এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে তাদের আসল রূপই বদলে যায়, তবে তার ওপর হারাম হওয়ার বিধান আর থাকবে না।
কারণ, শরিয়তের বিধিবিধানের সম্পর্ক কোনো বস্তুর বিদ্যমান রূপের সাথে। যখন রূপটি বদলে যায়, তখন বিধানও পরিবর্তন হয়। আর আসল রূপের পরিবর্তন কখন ধর্তব্য হবে? এটি একটি খুব সূক্ষ্ম এবং জটিল বিষয়।
অতএব, যদি ভ্যাকসিনে হারাম উপাদান থাকে এবং তাতে রাসায়নিক উপাদানগুলির মাধ্যমে এধরনের পরিবর্তন ঘটে গিয়ে থাকে, তবে তার ব্যবহার জায়েয হবে।
দ্বিতীয় ব্যতিক্রম অবস্থাটি হচ্ছে,
যদি এমন হয় যে, বস্তুর প্রকৃতি এবং মূল অবস্থা পরিবর্তন হয়নি; কিন্তু বিশেষজ্ঞের চিকিৎসকদের গবেষণা অনুসারে এর ব্যবহার জরুরি, তখনও এর ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ স্বয়ং কুরআন মাজীদে জীবন বাঁচাতে হারাম জিনিসকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। (সূরা বাকারা: ১৭৩)
সুতরাং উপরোক্ত বিশদ আলোচনার আলোকে করোনা ভ্যাকসিন-এর উপাদান, প্রতিক্রিয়া ও পরিস্থিতি বিবেচনায় নিম্নোক্ত বিধান পেশ করা হল:
বর্তমান সময়ে করোনার ভ্যাকসিন দুই ধরণের লোক গ্রহণ করছে:
১. সাসপেক্টেড বা যার করোনা হয়েছে,
তার রোগের চিকিৎসা হিসেবে ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হলে ততক্ষণ পর্যন্ত তা নিরংকুশভাবে বৈধ; যতক্ষণ না নিশ্চিতভাবে জানা যাবে যে, তাতে হারাম উপাদান আছে।
আর যদি নিশ্চিতভাবে জানা যায় যে, তাতে হারাম উপাদান আছে তাহলে মুসলিম প্রকৃত দ্বীনদার ডাক্তারের পরামর্শক্রমে ও এই ভ্যাকসিন নিলে রোগমুক্তির প্রবল ধারণা হলে এবং তা ছাড়া অন্য কোন হালাল চিকিৎসা না থাকলে তখন তা গ্রহণ বৈধ, যদিও হারাম উপাদান থাকে। যেহেতু নিরুপায়ত্ব ও অপরাগতায় হারাম গ্রহণ বৈধ হয়।
ইসলামি শরিয়তের একটি স্বতঃসিদ্ধ উসুল/মূলনীতি আছে-
“নিরুপায়ত্ব ও অপারগতা, কখনো কখনো তীব্র প্রয়োজন পরিস্থিতিতে নিষিদ্ধ কোনো কিছুকে ঐ সাময়িক সময়ের জন্য বৈধতা দেয়।”
২. সাসপেক্টেড নয় বা যার করোনা হয়নি,
তার সতর্কতামূলক ও রোগপূর্বক চিকিৎসা হিসেবে ভ্যাকসিন গ্রহণ করা হলে শরয়ী বিধান হল;
যদি বাস্তব অভিজ্ঞতায় নিশ্চিতভাবে বা প্রবল ধারণা মতে প্রমাণিত হয় যে, তা প্রায়শ: শরীরের জন্য ক্ষতিকর বা তাতে হারাম উপাদান আছে তাহলে শুধু রোগপূর্বক চিকিৎসার জন্য এ ভ্যাকসিন গ্রহণ অবৈধ।
আর যদি মুসলিম প্রকৃত দ্বীনদার ডাক্তারের পরামর্শক্রমে ও সত্যায়নে এবং বাস্তব অভিজ্ঞতায় নিশ্চিতভাবে বা প্রবল ধারণা মতে যদি প্রমাণিত হয় যে, তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয় ও তাতে হারাম উপাদান নাই তাহলে এ ভ্যাকসিন গ্রহণ বৈধ।
সুতরাং, যদি এর কারণে মানুষের জীবন বা তার কোনও শক্তি ও আচরণে বিরূপ প্রভাব না পড়ে, তবে এর ব্যবহারে শরীয়তের দৃষ্টিতে কোনো সমস্যা নেই।
আর চিকিৎসাগতভাবে কী প্রভাব পড়তে পারে-এটা কেবল চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতামত দ্বারা সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।
তবে হারাম উপাদান থাকার শুধু সন্দেহের কারণে তা হারাম বলা যাবে না।
বাকি রইল, লক্ষ লক্ষ লোকের মধ্যে যদি দু-চারজনের ভ্যাকসিন ব্যবহারের পর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, তো এটি কোনও দলিল নয়। কারণ, প্রতিনিয়ত যে ওষুধগুলি ব্যবহার করা হয়, মাঝেমধ্যে তাতেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটে এবং অনেক মৃত্যুও ঘটে যায়।
সুতরাং কতিপয়ের ক্ষতির দ্বারা অবৈধ সাব্যস্ত হবে না।
অতএব নিছক সন্দেহের ভিত্তিতে এটিকে হারাম ঘোষণা করা যায় না।
আর যদি হারাম উপাদান ব্যবহার করা হয়েও থাকে, যেমনি প্রসিদ্ধ আছে যে, বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে পর্ক (শুকরের) জিলেটিন ব্যবহার করা হয়, তাহলে সেটা তার আসল অবস্থায় বহাল আছে কিনা-এটা স্পষ্ট নয়।
তাছাড়া এতে হারাম উপাদানের অন্তর্ভুক্তি গবেষণার পর্যায়ে পৌঁছায়নি, নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এধরনের কথাবার্তা আসছে; কিন্তু কোনও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বিষয়টি নিশ্চিত করেনি এবং কেউ পরীক্ষাগারে বিশ্লেষণ করে কোনও প্রত্যয়িত প্রতিবেদনও জমা দেয়নি।
হ্যাঁ, তদুপরি কেউ যদি সতর্কতামূলক বিরত থাকতে চায় সেটা ভিন্ন বিষয়। والله تعالى أعلم
قوله تعالى: ﴿إنما حرم عليكم الميتة والدم ولحم الخنزير وما أهل به لغير الله فمن اضطر غير باغ ولا عاد فلا إثم عليه إن الله غفور رحيم﴾ [البقرة: 173].
“الْأَصْلُ فِي الْأَشْيَاءِ الْإِبَاحَةُ، وَأَنَّ فَرْضَ إضْرَارِهِ لِلْبَعْضِ لَا يَلْزَمُ مِنْهُ تَحْرِيمُهُ عَلَى كُلِّ أَحَدٍ، فَإِنَّ الْعَسَلَ يَضُرُّ بِأَصْحَابِ الصَّفْرَاءِ الْغَالِبَةِ، وَرُبَّمَا أَمْرَضَهُمْ مَعَ أَنَّهُ شِفَاءٌ بِالنَّصِّ الْقَطْعِيِّ، وَلَيْسَ الِاحْتِيَاطُ فِي الِافْتِرَاءِ عَلَى اللَّهِ تَعَالَى بِإِثْبَاتِ الْحُرْمَةِ أَوْ الْكَرَاهَةِ اللَّذَيْنِ لَا بُدَّ لَهُمَا مِنْ دَلِيلٍ، بَلْ فِي الْقَوْلِ بِالْإِبَاحَةِ الَّتِي هِيَ الْأَصْلُ”. (حاشية ابن عابدين (رد المحتار)، 6 / 459، کتاب الاشربہ، ط: سعید)
وفي الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 210):
“اختلف في التداوي بالمحرم، وظاهر المذهب المنع كما في رضاع البحر، لكن نقل المصنف ثمة وهنا عن الحاوي: وقيل: يرخص إذا علم فيه الشفاء ولم يعلم دواء آخر كما رخص الخمر للعطشان، وعليه الفتوى.”
مطلب في التداوي بالمحرم: (قوله: اختلف في التداوي بالمحرم) ففي النهاية عن الذخيرة: يجوز إن علم فيه شفاء ولم يعلم دواء آخر. وفي الخانية في معنى قوله عليه الصلاة والسلام: «إن الله لم يجعل شفاءكم فيما حرم عليكم»، كما رواه البخاري: أن ما فيه شفاء لا بأس به كما يحل الخمر للعطشان في الضرورة، وكذا اختاره صاحب الهداية في التجنيس فقال: لورعف فكتب الفاتحة بالدم على جبهته وأنفه جاز للاستشفاء، … وهذا؛ لأن الحرمة ساقطة عند الاستشفاء كحل الخمر والميتة للعطشان والجائع. اهـ من البحر. وأفاد سيدي عبدالغني أنه لايظهر الاختلاف في كلامهم لاتفاقهم على الجواز للضرورة، واشتراط صاحب النهاية العلم لاينافيه اشتراط من بعده الشفاء ولذا قال والدي في شرح الدرر: إن قوله: لاللتداوي محمول على المظنون وإلا فجوازه باليقيني اتفاق كما صرح به في المصفى. اهـ. أقول: وهو ظاهر موافق لما مر في الاستدلال، لقول الإمام: لكن قد علمت أن قول الأطباء لايحصل به العلم. والظاهر أن التجربة يحصل بها غلبة الظن دون اليقين إلا أن يريدوا بالعلم غلبة الظن وهو شائع في كلامهم، تأمل. (قوله: وظاهر المذهب المنع) محمول على المظنون كما علمته (قوله: لكن نقل المصنف إلخ) مفعول نقل قوله: وقيل: يرخص إلخ والاستدراك على إطلاق المنع، وإذا قيد بالمظنون فلا استدراك. ونص ما في الحاوي القدسي: إذا سال الدم من أنف إنسان ولاينقطع حتى يخشى عليه الموت وقد علم أنه لو كتب فاتحة الكتاب أو الإخلاص بذلك الدم على جبهته ينقطع فلايرخص له فيه؛ وقيل: يرخص كما رخص في شرب الخمر للعطشان وأكل الميتة في المخمصة، وهو الفتوى. اهـ (قوله: ولم يعلم دواء آخر) هذا المصرح به في عبارة النهاية كما مر وليس في عبارة الحاوي، إلا أنه يفاد من قوله: كما رخص إلخ؛ لأن حل الخمر والميتة حيث لم يوجد ما يقوم مقامهما أفاده ط. قال: ونقل الحموي أن لحم الخنزير لايجوز التداوي به وإن تعين، والله تعالى أعلم”. فقط واللہ اعلم
উত্তর প্রদান
মুফতী মাসুম বিল্লাহ
Sharia Specialist, Islamic Economist, Banking & Finance Expert.
Khatib & Mufassir at Al Madina Jame Masjid at Eastern Housing, Pallabi Phase-2, Mirpur 11 ½.
Senior Muhaddis & Mufti at Jamia Islamia Darul Uloom Dhaka,Masjidul Akbar Complex, Mirpur-1,Dhaka-1216
Ustazul fiqh & Ifta at مركز البحوث الاسلامية داكا. Markajul Buhus Al Islamia Dhaka