প্রাইজ বন্ডের শরয়ী বিধান ৷৷

By | November 30, 2021

প্রশ্ন:

প্রাইজবন্ড কি হালাল? এখানে লেখা আছে “সুদ মুক্ত জাতীয় প্রাইজ বণ্ড”৷ এটা কি হালাল বা জায়েয হবে?

উত্তর: وبالله سبحانه التوفيق
বন্ডের হাকীকত হলো তা ঋণের নিশ্চয়তাপত্র। বন্ড কিনেছি মানে সরকারকে ঋণ দিয়েছি ৷
আর ঋণের পরিবর্তে প্রদত্ত পুরস্কার
সুদের অন্তর্ভূক্ত ৷ সে হিসেবে প্রাইজ
বন্ডের পরিবর্তে প্রদত্ত পুরস্কারও
সুদের অন্তর্ভূক্ত ৷ আমাকে নিশ্চত
পেতে হবে এটা জরুরী নয়, বরং আমার পাওয়ার
অধিকার আছে, এই অধিকার থাকাটাই রিবার জন্য যথেষ্ট ৷ সেটা যেভাবেই আসুক ৷

কারণ,
ﻛﻞ ﻗﺮﺽ ﺟﺮ منفعة فهو ربا
হাদীছ টি আম বা ব্যাপকভাবে প্রচলিত নিয়মের সকল ঋণের সুবিধা কে নাজায়িয প্রমাণ করে ৷

ফিকহের স্বতঃসিদ্ধ মূলনীতি-
ﺍﻟﻌﺒﺮﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﻌﻘﻮﺩ ﻟﻠﻤﻌﺎﻧﻲ ﻻ ﻟﻠﻤﺒﺎﻧﻲ ـ

অর্থ- চুক্তি ও লেনদেনে অর্থ-মর্মের ধর্তব্য, শব্দ-বর্ণের নয়।

সুতরাং পাওয়া বা না পাওয়ার উপর সুদ বা হারাম নির্ভর নয় ৷ বরং শরীয়াতে আকদের এবং শর্তের গণ্যতা তাই না পাইলেও সুদী চুক্তির গোনাহ হবে, তবে হ্যাঁ, না পেলে সুদ গ্রহণের গোণাহ থেকে বেঁচে যাবে তাই বলে চুক্তি তো আর হালাল হবে না৷

যেমন কেউ মায়সিরে কিছু
না পেলে মায়সির হালাল হয় না ৷
তাছাড়া রিটার্ন নাই এ কথা নিশ্চিত
বলা যায় না ৷ কারণ ফ্যাকে উল্লেখ
না থাকা রিটার্ন না থাকার প্রমাণ বহন
করে না ৷ যদিও আলোচ্য বিষয়ে শুধু রিটার্নের উপর সুদ হওয়া মওকূফ নয় ৷

আর এখানে যে মায়সির নেই তা বলাবাহল্য,
কারণ, মায়সিরে কোন এক পক্ষের বিনিময় খোয়া যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে অথচ এখানে বন্ড হোল্ডারের কোন খোয়া যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না তাই এটা মায়সির নয় ৷

উল্লেখ্য, মায়সির বা কিমারের
সম্ভাবনা ব্যতিতই সুদ তাই মায়সির
বা কিমার কিনা দেখার প্রয়োজন নেই ৷
والله اعلم بالصواب.

বিস্তারিত দেখুন,

ইনআমুল বারী , শায়খুল ইসলাম মুফতী তাকী উসমানী সাহেবের ৷

ইসলাম ও এমএলএম বইটির
মায়সিরের আলোচনা দেখা যেতে পারে ৷

উত্তর প্রদান-

মুফতী মাসুম বিল্লাহ

Facebook Comments Box