
প্রশ্ন:
শায়েখ কিছু জরুরি মাসআলা জানার প্রয়োজন ছিল,,
(১)বর্তমানে যারা (মেয়েরা) নার্সিং পেশায় জব করে ((সরকারী/বেসরকারি))তাদের এই পেশাটা কতটুকু শরিয়ত সম্মত??
(২)স্বামী প্রতিষ্ঠিত(পরিবার চালানোর সক্ষমতা তার আছে) থাকা সত্ত্বেও কোন স্ত্রী কি জব করতে পারবে বিশেষত নার্সিং পেশায়??
(৩) পৃথিবীতে অনেক বিদ্যাই রয়েছে তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য চিকিৎসা বিদ্যা অর্থাৎ কোন মেয়ে যদি চিকিৎসা বিদ্যা অর্জন করে যেমন- ডাক্তার,,নার্সিং,,মিডওয়াইফারি ইত্যাদি এবং সে মানুষের সেবার উদ্দেশ্যে (কোন সরকারি অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান) কাজ করে এতে কি তার গুনাহ হবে ? শরীয়ত কি তাকে এই কাজের অনুমতি দিবে??
এটা সবারই বোধগম্য যে, বর্তমানে পরিপুর্ণ পর্দা রক্ষা করে এটা করা সম্ভব না তবে যদি আমরা আলেম ওলামারা অন্য দিকে তাকাই যে আমাদের (আলেমদের/যারা পর্দা করে চলে) পরিবারের কোনো “মহিলা” সদস্যকে যদি কখনো হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হয় আমরা কিন্তু তখন একজন মেয়ে ডাক্তার বা নার্সকেই খুজি,আমাদের পরিবারের লোকজনদের পর্দার কথা চিন্তা করে।। এখন যদি আমরা বলি যে পরিপূর্ণ পর্দা না করা হলে (অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে) এই প্রফেশনটা জায়েজ হবে না তাহলেতো আমরাও আমাদের পরিবারকে পরিপূর্ণ পর্দা সহকারে কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারবো না বাধ্য হয়ে পুরুষ দ্বারা চিকিৎসা নিতে হবে যেটা আরো মারাত্মক!!
এবং তখন গণহারে পুরুষরাই মেয়েদেরকে ট্রিটমেন্ট দিয়ে যাবে যেটা সমাজের জন্য আরও ক্ষতিকারক!
(৪) যারা নার্স অর্থাৎ এখানে ছেলে নার্স ও আছে আবার মেয়ে নার্স ও আছে।।
তো প্রশ্ন হল কোন মেয়ে নার্স কোন পুরুষের সেবা যত্ন তথা হসপিটালে কোন পুরুষ রোগীর ((যেহেতু বাংলাদেশে এমন আলাদা আলাদা করে ডিউটি দেয়া হয় না,,তো জরুরিতের ভিত্তিতে ডিউটি করা বৈধ হবে কি))?
(৫) সেবা যত্ন করতে পারবে কিনা??
যদি পারে তাহলে কি কি শর্ত সাপেক্ষে?
(৬) অনেক সময় পুরুষ রোগীর হাত পা এবং অনান্য অঙ্গসমূহ বাধ্য হয়ে ধরতে হয়।। এটা কতটুকু শরীয়ত সম্মত??
(৭) এমনিভাবে কোন ছেলে নার্স যারা আছে তারাও কি কোন মহিলা রোগীদের সেবা যত্ন করতে পারবে কিনা??
এই বিষয় যদি একটু বিস্তারিত বলতেন
From: Md Atikul Islam Rakib
উত্তর: وبالله سبحانه التوفيق
নারী–পুরুষের পৃথক নার্সিং ব্যবস্থা করা সরকার সহ সকল মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কমপক্ষে এমন কিছু প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা অতীব জরুরী; যেগুলোতে নারী–পুরুষের মিশ্রণ থাকবে না। এবং কিছু মহিলা হাসপাতাল চালু করার জন্য কর্তৃপক্ষকে রাজি করানো ও প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাতে হবে, যে হাসপাতালগুলোতে শরয়ি নীতিমালা মেনে চলা হবে।
মাশাআল্লাহ! ক্ষুদ্র পরিসরে কিছু শুরু হয়েছে।
যদি কোন মুসলিম দেশের হাসপাতালগুলোতেও নারী–পুরুষের মিশ্রিত অবস্থা বিরাজ করে; তাহলে এটি একটি অত্যন্ত দুঃখজনক বাস্তবতা।
তদুপরি বর্তমানে মহিলা রোগীদেরকে কিংবা একটা বড় সংখ্যক মহিলা রোগীকে এ হাসপাতালগুলোতে যেতে হচ্ছে এবং পুরুষ ডাক্তারদের কাছে নিজেদেরকে পেশ করতে হচ্ছে। তদ্রুপ পুরষদের নারী নার্সদের সেবা নিতে হচ্ছে।
এতে কোন সন্দেহ নেই, যদি দ্বীনদার ডাক্তার ও নার্সদের কে এ সকল হাসপাতালে চাকুরী করতে নিষেধ করা হয় তাহলে গোটা ময়দান বেদ্বীনদের জন্য উন্মুক্ত হয়ে পড়বে; যারা তাদের চাকুরীর ক্ষেত্রে, দৃষ্টির ক্ষেত্রে কিংবা নির্জনবাসের ক্ষেত্রে আল্লাহকে ভয় করে না।
অনুরূপভাবে দ্বীনদারগণ চাকুরীর সুযোগ হারাবেন। কিংবা মেডিকেল কলেজগুলো দ্বীনদার ও সৎ মানুষ থেকে খালি হয়ে যাবে। কোন সন্দেহ নেই এতে রয়েছে মহা ক্ষতিকর অনেক বিষয়।
যে ক্ষতিগুলো কোন পুরুষ কর্তৃক মহিলার সতর দেখার চেয়ে অনেক মারাত্মক হতে পারে; প্রয়োজন ও জরুরী মুহূর্তে শরিয়তে যা দেখার বৈধতা রয়েছে।
আলেমগণের নিকট স্বতঃসিদ্ধ নীতি হচ্ছে–
“ইসলামী শরিয়ত কল্যাণ সাধন কিংবা কল্যাণকে পরিপূর্ণতা দিতে এসেছে এবং অকল্যাণকে প্রতিহত করা কিংবা হ্রাস করার জন্য এসেছে। তাই বড় অকল্যাণকে দূর করার জন্য ছোট অকল্যাণে লিপ্ত হওয়া জায়েয।“
সুতরাং,
মূলত: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হচ্ছে– পুরুষ ডাক্তার–নার্স ও নারী ডাক্তার–নার্স এর মাঝে এমনভাবে ডিউটি ভাগ করে দেয়া যাতে করে মহিলা রোগী আসলে তাদের চেক–আপ করা ও পরীক্ষা করার জন্য মহিলা ডাক্তার–নার্সের কাছে পাঠানো যায়।
যদি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ কর্তব্য পালন না করে, এ বিষয়ে ভ্রূক্ষেপ না করে তাহলে পৃথক নার্সিং ব্যবস্থা যতদিন পর্যন্ত চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে —
নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে সেবা করতে পারবে ও নারী-পুরুষ একে অপরকে নার্সিং সেবা দিলে গোনাহগার হবে না; বরং তখন শরীয়াত তাকে এ কাজের অনুমতি দিবে। আর সেবার নিয়তে করলে সওয়াবও হবে।
শর্তাবলী হল নিম্নরূপ:—
ক. পুরা শরীর ঢেকে কাজ করা সম্ভব, অনেকেই করেন, বর্তমানে পিপি, মাস্ক-হ্যান্ড গ্লোভস পরে কাজ করছেন। তদ্রুপ পর্দাবৃত, নেকাব-হাত মোজা বা কমপক্ষে শরীর ঢাকা ও ঢিলে ঢালা পোশাক বা পিপি, মাস্ক-হ্যান্ড গ্লোভস পরে করবেন।
তবে একান্ত প্রয়োজনে চেহারা, হাতের কব্জি পর্যন্ত খুলতে পারবেন।
খ. কন্ঠস্বর ও কর্মকান্ডে আবেদনময়ীতা সম্পূর্ণ বর্জন করতে হবে।
গ. প্রকৃতপক্ষে রোগীকে নার্সিং করার প্রয়োজন থাকা।
ঘ. মাহরাম দ্বারা সেবা কাজ সমাধা না হলে ও নিরুপায় হলে।
ঙ. উপরে বর্ণিত যথা নিয়মে পর্দা রক্ষা করে।
চ. রোগির বা তার অভিভাবকের অনুমতি নিতে হবে।
ছ. রোগির শরীরের ততটুকু দেখবেন যতটুকু দেখা রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার স্বার্থে প্রয়োজন; এর বেশি দেখবে না এবং সাধ্যমত দৃষ্টি অবনত রাখবে।
জ. একান্ত প্রয়োজন পরিমাণ স্পর্শ করতে পারবেন।
ঝ. রোগির চিকিৎসা সেবা করতে হবে রোগির মাহরাম কিংবা স্বামী/স্ত্রী কিংবা (নারী রোগির ক্ষেত্রে) কোন বিশ্বস্ত নারীর উপস্থিতিতে; যাতে করে নিষিদ্ধ নির্জনবাস না ঘটে।
ঞ. নারীরা পুরুষের সাদৃশ্য পোশাক–ইউনিফর্ম পরতে পারবে না।
ট. কন্ঠস্বর ও কর্মকান্ডে আবেদনময়ীতা সম্পূর্ণ বর্জন করতে হবে।
ঠ. সর্বদা বিপরীত জেন্ডার থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।
উপরোক্ত আলোচনার আলোকে আপনার প্রশ্নাবলীর উত্তর নিম্নে পেশ করা হল—
১। পর্দার সাথে বৈধ।
২। না, তবে নার্সিংয়ের অভাব দেখা দিলে একান্ত প্রয়োজন হলে করতে পারবে।
৩। পর্দার সাথে ও উপরোক্ত অন্যান্য শর্তাদি পূরণার্থে করলে গুনাহ হবে না। তখন শরীয়াত তাকে এ কাজের অনুমতি দিবে। আর সেবার নিয়তে করলে সওয়াবও হবে।
৪। পুরা শরীর ঢেকে কাজ করা সম্ভব, অনেকেই করেন, বর্তমানে পিপি, মাস্ক-হ্যান্ড গ্লোভস পরে কাজ করছেন। তদ্রুপ পর্দাবৃত, নেকাব-হাত মোজা বা কমপক্ষে পিপি, মাস্ক-হ্যান্ড গ্লোভস পরে করবেন। তবে একান্ত প্রয়োজনে চেহারা, হাতের কব্জি পর্যন্ত খুলতে পারবেন।কন্ঠস্বর ও কর্মকান্ডে আবেদনময়ীতা সম্পূর্ণ বর্জন করতে হবে।
৫, ৬, ৭। উপরোক্ত শর্তাবলী পূরণার্থে নার্সিং করতে পারবে। والله تعالى أعلم
قوله –تعالى-: ﴿ قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ذَلِكَ أَزْكَى لَهُمْ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ ﴾ [النور:30].
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى وَأَقِمْنَ الصَّلَاةَ وَآتِينَ الزَّكَاةَ وَأَطِعْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا. الاحزاب – ٣٣.
والله يقول: ﴿ وَقَدْ فَصَّلَ لَكُمْ مَا حَرَّمَ عَلَيْكُمْ إِلاَّ مَا اضْطُرِرْتُمْ إِلَيْهِ ﴾ [الأنعام: 119].
الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ ، وَإِنَّهَا إِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ ، وَإِنَّهَا لا تَكُونُ أَقْرَبَ إِلَى اللَّهِ مِنْهَا فِي قَعْرِ بَيْتِهَا. الطبراني.
وحديثَ معقل بن يسار – رضي الله عنه -: أنَّ النبيَّ –صلى الله عليه وسلم– قال: ((لأنْ يُطعن في رأس أحدِكم بمِخيط من حديدٍ خيرٌ له مِن أن يمسَّ يدَ امرأةٍ لا تحلُّ له)).
وقد قال رسول الله –صلى الله عليه وسلم-: ((لو أنَّ رجلاً اطَّلَع عليكَ بغير إذْنٍ فحذفتَه بحصاةٍ ففقأْتَ عينَه، ما كان عليك من جُناح))؛ متفق عليه.
♦ من أهمِّ القواعد والضوابط الشرعيَّة ما يلي:
أ – قاعدة: ما جاز لعذر بطل لزواله.
ب – قاعدة: الضرورات تُبيح المحظورات.
ج – قاعدة: الضرورة تُقدَّر بقدرها.
د – قاعدة: الحاجة تنزل منزلةَ الضرورة.
قال ابن عابدين الشامي:
وَأَمَّا فَرْضُ الْكِفَايَةِ مِنْ الْعِلْمِ، فَهُوَ كُلُّ عِلْمٍ لَا يُسْتَغْنَى عَنْهُ فِي قِوَامِ أُمُورِ الدُّنْيَا كَالطِّبِّ وَالْحِسَابِ…………………….إلي أن قال……………………………………………………………………. وَالْعِلْمِ بِأَعْمَارِهِمْ وَأُصُولِ الصِّنَاعَاتِ وَالْفِلَاحَةِ كَالْحِيَاكَةِ وَالسِّيَاسَةِ وَالْحِجَامَةِ. رد المحتار ، ١/٤٢.
جاء في الإنصاف للمرداوي :
من ابتلي بخدمة مريض، أو مريضة في وضوء، أو استنجاء أو غيرهما، فحكمه حكم الطبيب في النظر والمس. نص عليه. كذا لو حلق عانة من لا يحسن حلق عانته. نص عليه. وقاله أبو الوفاء، وأبو يعلى الصغير. انتهى
ما صدر من مجمع الفقه الإسلامي التابع لمنظمة المؤتمر الإسلامي، بقراره رقم 85/12/85 في 1 – 7/1/1414هـ، وهذا نصُّه:
“الأصل أنَّه إذا توافرت طبيبةٌ مسلمة متخصِّصة يجب أن تقوم بالكشْف على المريضة، وإذا لم يتوافر ذلك، تقوم طبيبةٌ غير مسلمة، فإن لم يتوافرْ ذلك يقوم به طبيبٌ مسلم، وإن لم يتوافر طبيبٌ مسلم، يمكن أن يقوم مقامَه طبيبٌ غير مسلم، على أن يطَّلع من جسم المرأة على قدر الحاجة في تشخيصِ المرض ومداواته، وألاَّ يزيدَ عن ذلك، وأن يغضَّ الطرف قدرَ استطاعته، وأن تتمَّ معالجة الطبيب للمرأة بحضور مَحْرَم، أو زوج، أو امرأة ثقة؛ خشيةَ الخلوة“.
ويوصِي المجمع بما يلي:
♦ أن يقوم المسؤولون عن الصِّحة بتعديل السياسة الصِّحيَّة فكرًا ومنهجًا وتطبيقًا، بما يتَّفق مع ديننا الإسلاميِّ الحنيف وقواعده الأخلاقيَّة السامية، وأن يُولوا عنايتَهم الكاملة؛ لدفعِ الحرج عن المسلمين، وحفظِ كرامتهم، وصيانة أعراضهم.
♦ العمل على وجود موجِّه شرعيٍّ في كلِّ مستشفى للإرشاد والتوجيه للمرضى. انتهى.
وأفتتِ اللجنة الدائمة للبحوث العلميَّة والإفتاء بأنَّه:
لا يجوز للمرأة أن تَشتغلَ مع رجالٍ ليسوا محارمَ عليها؛ لِمَا يترتب على وجودها معهم من المفاسد، وعليها أن تطلب الرِّزق من طُرق لا محذور فيها؛ ومَن يتقِ الله يجعل له مِن أمره يُسرًا.
وقد صَدر من اللَّجنة الدائمة فتوى في ذلك، هذا نصُّها: “أمَّا حُكم اختلاط النِّساء بالرِّجال في المصانع أو المكاتب بالدُّول غير الإسلاميَّة، فهو غير جائز؛ ولكن عندَهم ما هو أبلغُ منه، وهو الكفر بالله – جلَّ وعلا – فلا يستغرب أن يقع بينهم مثل هذا المنكر.
وأمَّا اختلاط النِّساء بالرِّجال في البلاد الإسلاميَّة وهم مسلمون، فحرام، والواجب على المسؤولين في الجِهة التي يوجد فيها اختلاطٌ أن يعملوا على جعْل النِّساء على حِدَة، والرِّجال على حِدَة؛ لِمَا في الاختلاط من المفاسد الأخلاقيَّة التي لا تخفى على مَن له أدنى بصيرة”.
উত্তর প্রদান:
মুফতী মাসূম বিল্লাহ।
Sharia Specialist, Islamic Economist, Banking & Finance Expert.
Khatib & Mufassir at Al Madina Jame Masjid at Eastern Housing, Pallabi Phase-2, Mirpur 11 ½.
Senior Muhaddis & Mufti at Jamia Islamia Darul Uloom Dhaka,Masjidul Akbar Complex, Mirpur-1,Dhaka-1216
Ustazul fiqh & Ifta at مركز البحوث الاسلامية داكا. Markajul Buhus Al Islamia Dhaka