Category Archives: প্রবন্ধ নিবন্ধ

ফেসবুক ব্যবহার নীতি

নিম্নোক্ত নীতি ফলো করা উচিত: ১। ফেসবুক ব্যবহারে মূল লক্ষ্য হবে, কোন কিছু শেখা বা শেখানো, জানা বা জানানো, সংশোধন হওয়া বা করা। ২। কোন রূপ গীবত, সমালোচনা বৈধ নয়। তবে শরীয়াহ অনুমোদিত ক্ষেত্রে ভিন্ন কথা। ৩। কোন ধরণের ফিতনা সৃষ্টি বা ধুম্রজাল বিস্তার, ফাটল ধরানো, হেয় করা, অভদ্র আচরণ, অশালিন বক্তব্য, কুরুচিপূর্ণ শব্দ চয়ন,… Read More »

ঈদ কার্ড : শরয়ী দৃষ্টিভঙ্গি

বর্তমান সমাজে ঈদ-উৎসব পর্বে কার্ড উপহার প্রদান এক ব্যাপক রেওয়াজ-রুসূমে পরিণত হয়েছে ৷ সব শ্রেণী-পেশার মানুষ একে অপরকে বিভিন্ন ধরণের বাহারী রঙের কার্ড পাঠিয়ে থাকে ৷ ঈদের কিছু দিন আগ থেকেই শুরু হয় প্রতিযোগীতার সাথে এই কার্ড বিতরণ ৷ দোকানগুলোতেও চলে বিক্রির ধুম ৷ উচ্চ-মধ্যম-নিম্ন সব মানেরই কার্ড রয়েছে ৷ ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই এটাকে গোনাহের কাজ… Read More »

ঈদ মোবারক বলার শরয়ী বিধান

ﻭﺑﺎﻟﻠﻪ سبحانه ﺍﻟﺘﻮﻓﻴﻖবর্তমানে ঈদের দিন বা পূর্বেই ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিবাদন হিসেবে আমাদের মাঝে বহুল প্রচলিত বাক্য হল, ‘ঈদ মোবারক’ ৷অনেকেই জানতে চান, অনেকে সংশয়গ্রস্থতা প্রকাশ করেন তাই বিষয়টি বিস্তারিত আলোকপাত করা হল:“ঈদ মুবারক” ( ﻋﻴﺪ ﻣﺒﺎﺭﻙ ) মূলত দুআ। যার অর্থ হচ্ছে- ঈদ আপনার জন্য বরকতময় হোক ৷উক্ত অর্থের দিক লক্ষ করে বললে মুস্তাহাব… Read More »

ইতিকাফকারীদের দৈনন্দিন কর্মসূচি ও আমল

মৌলিকভাবে—• নামায, তিলাওয়াত, জিকির, ক্বিরাত অনুশীলন, তালীম, সুন্নত ও বুনিয়াদি ইসলামি শিক্ষা ইত্যাদি। রুটিন অনুযায়ি —• ইতিকাফকারী রাত আড়াই টায় উঠে দীর্ঘ করে তাহাজ্জুদ আদায় করবেন। এরপর মুরাকাবা ও নফী-ইছবাতের জিকির করবেন। ও খুব কান্নাকাটি করে মন খুলে দুআ করবেন অতপর সাহরি খাবেন। এরপর ফজরের নামায পড়বেন সকাল-সন্ধার মাসনূন দুআ পড়বেন এরপর ঘুমাবেন সকাল ৮টায়… Read More »

করোনার কারণে বন্ধের মাসগুলোর বেতন

প্রশ্ন: বর্তমান করোনা_ভাইরাসের কারণে সরকারি নির্দেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কারখানা, দোকান-পাট বন্ধ হয়ে রয়েছে। এখন এই বন্ধ দিনগুলোর বেতন-ভাতা কি চাকুরিজীবী বা শ্রমজীবী বা কর্মকর্তা-শ্রমিকদের প্রাপ্য অধিকার ? ইসলামী শরীয়াহ কী বলে ?জনৈক… উত্তর:وبالله سبحانه التوفيق ইসলামী শরীয়াহর দৃষ্টিতে আজির বা শ্রমচুক্তিতে নিবদ্ধ ব্যক্তি যদি মাতলূবুল আমল তথা শ্রম প্রদানের তলব ও বাধ্যতায় থাকে তাহলে… Read More »

রমাযানকে ৩ ভাগে রহমত, মাগফিরাত, নাজাত বন্টন সঠিক নয়!

রমাযানের পুরাটাই রহমত, মাগফিরাত, নাজাত। রমাযানকে ৩ ভাগে বন্টন সঠিক নয়! এবিষয়ের বর্ণনাটি গ্রহণযোগ্য নয়!বিস্তারিত দেখুন: وهو_شهر_أوله_رحمة_وأوسطه_مغفرة_وآخره_عتق_من_النار. تخريج_الحديث “1. روي من سلمان -رضي الله تعالى عنه- :* رواه ابن خزيمة بلفظه في صحيحه 3/191 رقم (1887).* رواه المحاملي في أماليه (293) * والبيهقي في شعب الإيمان (7/216) 3608،* وفي فضائل الأوقات ص 146 رقم 37… Read More »

যাকাত হিসাবের সহজ নমুনা

ইস্তিখারা কি ? ইস্তিখারার নামায/সালাতুল ইস্তিখারা এর পদ্ধতি কি ?

আমাদের জীবনে এমন ঘটনা ঘটে যা আমরা চাই না কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার মধ্যেই আমাদের কল্যাণ নিহিত রয়েছে । আবার অনেক সময় এমন কিছু আশা করি যার মধ্যে হয়ত কোন অকল্যাণ ও ক্ষতি অপেক্ষা করছে । قال سبحانه وتعالى: {وَعَسَى أَن تَكْرَهُواْ شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَعَسَى أَن تُحِبُّواْ شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ وَاللّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ… Read More »

মিরাজের ঘটনা কি ? শবে মিরাজের কোন আমল আছে কি না ? এবং আমাদের দেশে প্রতি বছর যেভাবে শবে মিরাজ পালন করা হয়, তার বিধান কি ?

وبالله سبحانه التوفيق মিরাজের ঘটনার আগের ধারাবাহিক ঘটনাগুলো ছিলো বিষাদের।  মিরাজের ঠিক আগে লাগাতার রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জীবনে যেসব দুঃখ আসে: • তাঁর স্ত্রী খাদিজার (রাদিয়াল্লাহু আনহা) ইন্তেকাল; যিনি ছিলেন ঘরে তাঁর সবচেয়ে বড়ো প্রেরণাদাতা। • তাঁর চাচা আবু তালিবের ইন্তেকাল; যিনি ছিলেন ঘরের বাইরে তাঁর সবচেয়ে বড়ো অভিভাবক, যিনি তাঁকে আগলে রাখতেন। • তায়েফের দিন; যা ছিলো রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জীবনের সবচেয়ে দুর্বিষহ দিন। যেমন কুরবানী তেমন মেহেরবানী! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন কষ্টের মধ্যে, তখন আল্লাহ তাঁকে তাঁর জীবনের অন্যতমগুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন প্রত্যক্ষ করান। তাঁকে এমন জায়গায় নিয়ে যান, যেখানে পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো মানুষইতোপূর্বে যায়নি। মি‘রাজের ঘটনা কখন সংঘটিত হয়েছিলো ? মূলত রাসুল সা.-এর মিরাজ নিয়ে কোনো মতানৈক্য নেই। এটি সুসাব্যস্ত একটি বিষয়। কিন্তু এটি কবে ঘটেছে, এ নিয়ে বিস্তর মতানৈক্য রয়েছে। কারও মতে হিজরতের পাঁচ বছর পূর্বে, কারও মতে তিন বছর পূর্বে, কারও মতে দেড় বছর পূর্বে, কারও মতে এক বছর পূর্বে, কারও মতে ছয় মাস পূর্বে।  অনুরূপ কোন মাসে হয়েছে, এ নিয়েও অনেক মতপাওয়া যায়।  কারও মতে রবিউল আওয়ালে,  কারও মতে রবিউল আখিরে, কারও মতে রজবে,  কারও মতে রমজানেআর কারও মতে শাওয়ালে।  এভাবে দিন বা তারিখ নিয়েও অনেক মত পাওয়া যায়। হাফিজ ইবনু হাজার আসকালানি রহ. বলেন : وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي وَقْتِ الْمِعْرَاجِ فَقِيلَ كَانَ قَبْلَ الْمَبْعَثِ وَهُوَ شَاذٌّ إِلَّا إِنْ حُمِلَ عَلَى أَنَّهُ وَقَعَ حِينَئِذٍ فِي الْمَنَامِ كَمَا تَقَدَّمَ وَذَهَبَ الْأَكْثَرُإِلَى أَنَّهُ كَانَ بَعْدَ الْمَبْعَثِ ثُمَّ اخْتَلَفُوا فَقِيلَ قَبْلَ الْهِجْرَةِ بِسَنَةٍ قَالَه بن سعد وَغَيره وَبِه جزم النَّوَوِيّ وَبَالغ بن حَزْمٍ فَنَقَلَ الْإِجْمَاعَ فِيهِوَهُوَ مَرْدُودٌ فَإِنَّ فِي ذَلِكَ اخْتِلَافًا كَثِيرًا يَزِيدُ عَلَى عَشَرَةِ أَقْوَال مِنْهَا مَا حَكَاهُ بن الْجَوْزِيِّ أَنَّهُ كَانَ قَبْلَهَا بِثَمَانِيَةِ أَشْهُرٍ وَقِيلَ بِسِتَّةِأَشْهُرٍ وَحَكَى هَذَا الثَّانِيَ أَبُو الرَّبِيعِ بن سَالم وَحكى بن حَزْمٍ مُقْتَضَى الَّذِي قَبْلَهُ لِأَنَّهُ قَالَ كَانَ فِي رَجَبٍ سَنَةَ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ مِنَالنُّبُوَّةِ وَقِيلَ بِأَحَدَ عَشَرَ شَهْرًا جَزَمَ بِهِ إِبْرَاهِيمُ الْحَرْبِيُّ حَيْثُ قَالَ كَانَ فِي رَبِيعٍ الْآخِرِ قبل الْهِجْرَة بِسنة وَرجحه بن الْمُنِيرِ فِيشَرْحِ السِّيرَةِ لِابْنِ عَبْدِ الْبَرِّ وَقيل قبل الْهِجْرَة بِسنة وشهرين حَكَاهُ بن عَبْدِ الْبَرِّ وَقِيلَ قَبْلَهَا بِسَنَةٍ وَثَلَاثَةِ أَشْهُرٍ حَكَاهُ بن فَارِسٍوَقِيلَ بِسَنَةٍ وَخَمْسَةِ أَشْهُرٍ قَالَهُ السُّدِّيُّ وَأَخْرَجَهُ مِنْ طَرِيقِهِ الطَّبَرِيُّ وَالْبَيْهَقِيُّ فَعَلَى هَذَا كَانَ فِي شَوَّالٍ أَوْ فِي رَمَضَانَ عَلَى إِلْغَاءِالْكَسْرَيْنِ مِنْهُ وَمِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ وَبِهِ جَزَمَ الْوَاقِدِيُّ وَعَلَى ظَاهِرِهِ يَنْطَبِقُ مَا ذَكَرَهُ بن قُتَيْبَة وَحَكَاهُ بن عَبْدِ الْبَرِّ أَنَّهُ كَانَ قَبْلَهَا بِثَمَانِيَةَعَشَرَ شهرا وَعند بن سعد عَن بن أَبِي سَبْرَةَ أَنَّهُ كَانَ فِي رَمَضَانَ قَبْلَ الْهِجْرَةِ بِثَمَانِيَةَ عَشَرَ شَهْرًا وَقِيلَ كَانَ فِي رَجَب حَكَاهُ بنعَبْدِ الْبَرِّ وَجَزَمَ بِهِ النَّوَوِيُّ فِي الرَّوْضَةِ وَقيل قبل الْهِجْرَة بِثَلَاث سِنِين حَكَاهُ بن الْأَثِيرِ وَحَكَى عِيَاضٌ وَتَبِعَهُ الْقُرْطُبِيُّ وَالنَّوَوِيُّ عَنِالزُّهْرِيِّ أَنَّهُ كَانَ قَبْلَ الْهِجْرَةِ بِخَمْسِ سِنِينَ وَرَجَّحَهُ عِيَاضٌ وَمَنْ تَبِعَهُ. ‘মিরাজের সময় নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কারও মতে এটা নবুওয়াতের পূর্বেই হয়েছে। কিন্তু এটা অত্যন্ত দুর্বল ও বিচ্ছিন্নমত। তবে স্বপ্নে দেখা উদ্দেশ্য নিলে ঠিক আছে; যেমনটি পূর্বে গত হয়েছে। আর অধিকাংশ ইতিহাসবিদের মতে এটা নবুওয়াত প্রাপ্তির পরে হয়েছে। এরপর তারা আবার মতভেদ করেছেন। কারও মতে এটা হিজরতের এক বছর পূর্বেহয়েছে। ইমাম ইবনে সাদ রহ.-সহ প্রমূখ এমনই বলেছেন। ইমাম নববি রহ. এটাকেই চূড়ান্ত বলেছেন। আর ইমাম ইবনে হাজাম রহ. তো অতিরঞ্জিত করে এ মতের ব্যাপারে ইজমার দাবি করেছেন। কিন্তু ইজমার দাবি পুরোই ভুল।কেননা, এ ব্যাপারে দশেরও অধিক মত পাওয়া যায়, যার কয়েকটি ইমাম ইবনুল জাওজি রহ. বর্ণনা করেছেন যে, হিজরতের আট মাস পূর্বে মিরাজ সংঘটিত হয়েছে এবং কারও মতে ছয় মাস পূর্বে। এ দ্বিতীয় মতটি বর্ণনা করেছেনইমাম আবুর রবি বিন সালিম রহ.। আর এর পূর্বের উক্তির দাবিকৃত মতটি বর্ণনা করেছেন ইমাম ইবনে হাজাম রহ.।কেননা, তিনি বলেছেন, মিরাজ সংঘটিত হয়েছে নবুওয়াতের দ্বাদশ বছরের রজব মাসে। কারও মতে এগারো মাসআগে। ইমাম ইবরাহিম হারবি রহ. এটাকে চূড়ান্ত মত বলেছেন। কেননা, তিনি বলেছেন, মিরাজ সংঘটিত হয়েছেহিজরতে এক বছর পূর্বে রবিউল আখিরে। ইমাম ইবনে আব্দুল বার রহ. বিরচিত “আস-সিরাহ” এর ব্যাখ্যাগ্রন্থেইমাম ইবনে মুনির রহ. এটাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। কারও মতে হিজরতের এক বছর দুমাস পূর্বে। ইমাম ইবনেআব্দুল বার রহ. এ মতটি বর্ণনা করেছেন। কারও মতে হিজরতের এক বছর তিন মাস পূর্বে। ইমাম ইবনে ফারিসরহ. এ মতটি বর্ণনা করেছেন। কারও মতে হিজরতের এক বছর পাঁচ মাস পূর্বে। ইমাম সুদ্দি রহ. এ মতটি বর্ণনাকরেছেন। তার সূত্রে ইমাম তাবারি রহ. ও ইমাম বাইহাকি রহ. বর্ণনাটি রিওয়ায়াত (বর্ণনা) করেছেন। এ মতানুসারেমিরাজ সংঘটিত হয়েছে রমজানে অথবা রবিউল আওয়াল ও রমজানের ভগ্নাংশ দুটি বাদ দিলে শাওয়ালে। ইমামওয়াকিদি রহ. এ মতটিকে চূড়ান্ত বলেছেন। এ মতের সাথে মিলে যায় যা ইমাম কুরতুবি রহ. উল্লেখ করেছেন এবংইমাম ইবনে আব্দুল বার রহ. বর্ণনা করেছেন যে, হিজরতের আঠারো মাস পূর্বে মিরাজ সংঘটিত হয়েছে। ইমামইবনে সাদ রহ.-এর বর্ণনায় ইবনে আবু সাবরা রহ. থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, মিরাজ হিজরতের আঠারো মাস পূর্বেরমজান মাসে সংঘটিত হয়েছে। কারও মতে মিরাজ রজব মাসে সংঘটিত হয়েছে, যা ইমাম ইবনে আব্দুল বার. বর্ণনাকরেছেন এবং ইমাম নববি রহ. তাঁর “রাওজাতুত তালিবিন”-এ চূড়ান্ত মত বলে অভিহিত করেছেন। কারও মতে, হিজরতে তিন বছর পূর্বে মিরাজ সংঘটিত হয়েছে, যা ইমাম ইবনে আসির রহ. উল্লেখ করেছেন। কাজি ইয়াজ রহ. ওতাঁর অনুকরণে ইমাম কুরতুবি রহ. ও ইমাম নববি রহ. ইমাম জুহরি রহ. থেকে বর্ণনা করেন যে, এটা হিজরতের পাঁচবছর পূর্বে সংঘটিত হয়েছে। কাজি ইয়াজ রহ. ও তাঁর অনুসারীরা এটাকে প্রাধান্য দিয়েছেন।’ (ফাতহুল বারি : ৭/২০৩, প্রকাশনী : দারুল মারিফা, বৈরুত) ইমাম ইবনুল জাওজি রহ. বলেন : وَاتَّفَقَ الْعُلَمَاءُ عَلَى أَنَّ هَذَا الْمِعْرَاجَ كَانَ بِمَكَّةَ قَبْلَ الْهِجْرَةِ، وَاخْتَلَفُوا فِي الْمُدَّةِ الَّتِي كَانَتْ بَيْنَهُمَا عَلَى أَرْبَعَةِ أَقْوَالٍ: أَحَدُهَا: سَنَةٌقَالَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ. وَالثَّانِي: سِتَّةُ أَشْهُرٍ. قَالَهُ السُّدِّيُّ. وَالثَّالِثُ: ثَمَانِيَةَ عَشَرَ شَهْرًا. قَالَهُ الْوَاقِدِيُّ. ذَكَرَ هَذِهِ الأَقْوَالَ عَنْهُمْ أَبُو حَفْصِبْنُ شَاهِينَ. وَالرَّابِعُ: ثَمَانِيَةُ أَشْهُرٍ. فَأَمَّا الْهِجْرَةُ فَإِنَّهَا كَانَتْ فِي يَوْمِ الاثْنَيْنِ ثَانِي عَشَرَ رَبِيعِ الأَوَّلِ، أَعْنِي الْيَوْمَ الَّذِي قَدِمَ فِيهِرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ. فَعَلَى الْقَوْلِ الأَوَّلِ يَكُونُ الْمِعْرَاجُ فِي رَبِيعٍ الأَوَّلِ. وَعَلَى الثَّانِي وَالثَّالِثِ يَكُونُ فِي رَمَضَانَ. وَعَلَى الرَّابِعِ يَكُونُ فِي رجب. وقد ذكر محمد بن سعد عن الْوَاقِدِيُّ عَنْ أَشْيَاخٍ لَهُ قَالُوا: كَانَ الْمِعْرَاجُ لَيْلَةَ السَّبْتِ لِسَبْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةًخَلَتْ مِنْ رَمَضَانَ قَبْلَ الْهِجْرَةِ بِثَمَانِيَةَ عَشَرَ شَهْرًا. ‘উলামায়ে কিরামের এ ব্যাপারে ঐকমত্য আছে যে, এ মিরাজ হিজরতের পূর্বে মক্কায় থাকাকালীন সংঘটিতহয়েছিল। কিন্তু হিজরত ও মিরাজের মধ্যবর্তী সময়ের ব্যাপারে তাদের চারটি মত রয়েছে। এক. এক বছর। এটা ইবনেআব্বাস রা.-এর মত। দুই. ছয় মাস। এটা সুদ্দি রহ.-এর মত। তিন. আঠারো মাস। এটা ইমাম ওয়াকিদি রহ.-এরমত। তাঁদের থেকে এ মতগুলো ইমাম আবু হাফস শাহিন রহ. উল্লেখ করেছেন। চার. আট মাস। এদিকে হিজরতহয়েছে রবিউল আউয়ালের দ্বাদশ দিবসে সোমবার। অর্থাৎ এদিনেই তিনি মদিনায় পৌঁছেন। সুতরাং প্রথমমতানুসারে মিরাজ রবিউল আওয়াল মাসে হয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় মতানুসারে রমজান মাসে হয়েছে। আর চতুর্থমতানুসারে রজব মাসে হয়েছে। ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাদ রহ. ইমাম ওয়াকিদি রহ. সূত্রে তাঁর উস্তাদদের থেকে বর্ণনাকরেন যে, তাঁরা বলেছেন, হিজরতের আঠারো মাস পূর্বে রমজানের সতেরো তারিখে রোববার রাতে মিরাজ সংঘটিতহয়।’ (আত-তাবসিরা, ইবনুল জাওজি : ২/৩৩-৩৪, প্রকাশনী : দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যা, বৈরুত) ইমাম ইবনু রজব হাম্বলি রহ. বলেন : وقد روي: أنه في شهر رجب حوادث عظيمة ولم يصح شيء من ذلك فروي: أن النبي صلى الله عليه وسلم ولد في أول ليلة منهوأنه بعث في السابع والعشرين منه وقيل: في الخامس والعشرين ولا يصح شيء من ذلك وروى بإسناد لا يصح عن القاسمبن محمد: أن الإسراء بالنبي صلى الله عليه وسلم كان في سابع وعشرين من رجب وانكر ذلك إبراهيم الحربي وغيره ‘বর্ণিত আছে যে, রজব মাসে অনেক বড় বড় ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, কিন্তু এর একটিও বিশুদ্ধ সূত্রে প্রমাণিত নয়।যেমন বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ সা. এ মাসের প্রথম রাতে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং এ মাসের সাতাশ তারিখেতিনি নবুওয়াতপ্রাপ্ত হন, কারও মতে পঁচিশ তারিখে। এর কোনোটিই বিশুদ্ধভাবে সাব্যস্ত নয়। অনুরূপ অশুদ্ধ সূত্রেকাসিম বিন মুহাম্মাদ রহ. থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সা.-এর মিরাজ রজবের সাতাশ তারিখে হয়েছে। ইমাম ইবরাহিম রহ.-সহ প্রমূখ এটা খণ্ডন করেছেন।’ (লাতায়িফুল মাআরিফ : ১২১, প্রকাশনী : দারু ইবনি হাজাম) মূলত এগুলোর কোনোটির পক্ষেই প্রমাণযোগ্য কোনো বর্ণনা বা হাদিস পাওয়া যায় না। তাই নির্দিষ্টভাবে ২৭শে রজবকে শবে মিরাজ মনে করার কোনো অবকাশ নেই।  ইমাম ইবনু তাইমিয়া রহ. বলেন : هَذَا إِذَا كَانَتْ لَيْلَةُ الْإِسْرَاءِ تُعْرَفُ عَيْنُهَا، فَكَيْفَ وَلَمْ يَقُمْ دَلِيلٌ مَعْلُومٌ لَا عَلَى شَهْرِهَا وَلَا عَلَى عَشْرِهَا وَلَا عَلَى عَيْنِهَا، بَلِ النُّقُولُ فِيذَلِكَ مُنْقَطِعَةٌ مُخْتَلِفَةٌ لَيْسَ فِيهَا مَا يُقْطَعُ بِهِ، ‘এটা তখনই ঠিক হতো, যখন মিরাজের রাত নির্দিষ্টভাবে জানা থাকত। অথচ এ ব্যাপারে সুনিশ্চিত কোনো প্রমাণনেই, না এর মাসের ব্যাপারে, না এর দশকের ব্যাপারে আর না নির্দিষ্ট কোনো দিনের ব্যাপারে; বরং এ ব্যাপারেসকল বর্ণনাই সূত্রবিচ্ছিন্ন ও মতানৈক্যপূর্ণ, যার কোনোটিই সুনিশ্চিত নয়।’ (জাদুল মাআদ : ১/৫৮, প্রকাশনী : মুআসসাসাতুর রিসালা, বৈরুত) আল্লামা ছফিউর রহমান মুবারকপূরী (রাহিমাহুল্লাহ) ‘আর-রাহিকুল মাখতূম’ বইয়ে ৬ টি মত উল্লেখ করেছেন।  সেগুলো হলো: • যে বছর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নবুওয়্যাত লাভ করেন, সেবছর। এটা ইমাম তাবরানির(রাহিমাহুল্লাহ) মত। • নবুওয়্যাতের ৫ বছর পূর্বে। এটা ইমাম আন-নববী (রাহিমাহুল্লাহ) এবং ইমাম কুরতুবির (রাহিমাহুল্লাহ) মত। • হিজরতের ১৬ মাস পূর্বে। রামাদ্বান মাসে।… Read More »

রমাযানের শুভেচ্ছা ও কার্ড বিনিময়ের দৃষ্টিভঙ্গি

বর্তমানে রমাযানের শুভেচ্ছা বিনিময় ও ইনবক্সে কার্ড-ভিডিও উপহার প্রদান এক ব্যাপক রেওয়াজ-রুসূমে পরিণত হয়েছে ৷সব শ্রেণী-পেশার মানুষ একে অপরকে বিভিন্ন ধরণের বাহারী রঙের কার্ড পাঠিয়ে থাকে ৷ রমাযান শুরুর কিছু দিন আগ থেকেই শুরু হয় প্রতিযোগীতার সাথে এই শুভেচ্ছা বিনিময় ৷ নবীজী স. রমাযানের সুসংবাদ ও ফযীলত-গুরুত্ব শুনাতেন কিন্তু শুভেচ্ছা বিনিময় কখনো করেননি; সাহাবায়ে কেরাম,… Read More »

জীবন যাপনে সমস্যার মূল কারণ ও প্রতিকার

বর্তমানে মানুষের সাথে কথা বলে ও মিশে যা অভিজ্ঞতালব্ধ হয়েছে, তা হলো : মানুষ দুইটা দিক থেকে সমস্যায় জর্জরিত ; একটা আর্থিক দিক থেকে ;আরেকটা হলো মানসিক দিক থেকে । • আর্থিক দিক সমস্যার মূলে রয়েছে :তারা শরিয়া নীতি কে ফলো করছে না ।যেমন শরীয়াহ আয়-ব্যয়ের নীতিমালা রেখেছে।বিশেষতঃ খরচের খাতের নীতিমালা আছে ;সেগুলো কে খেয়াল… Read More »

ভ্যালেন্টাইস ডে পালন ও ইসলাম

কিছু মৌলিক কথা: উৎসব-অনুষ্ঠানাদি স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের অধিকারী যার দ্বারা মতবাদ-ধর্মগুলোকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায়। উৎসব অনুষ্ঠান যে প্রতিটি জাতির স্বকীয় বৈশিষ্ট্য, এর প্রতি রাসূলুল্লাহ(সা.) ইঙ্গিত করেছেন, যখন তিনি বলেন : ‘প্রত্যেক জাতির নিজস্ব ঈদ রয়েছে, আর এটা আমাদের ঈদ।’ [বুখারী, মুসলিম] এছাড়া আনাস ইবনে মালিক(রা.) বর্ণিত: “রাসূলুল্লাহ(সা.) যখন [মদীনায়] আসলেন, তখন তাদের দুটো উৎসবের দিন… Read More »